পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় লকডাউনের গতকাল ছিল ১৫তম দিন। এ সময়ে সেখানে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। করোনা সংগ্রহ বুথের তথ্য মতে, গত ১৫ দিনে ২০৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৮০ জনের নমুনার ফল পাওয়া গেছে। এতে ৮০ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। শতকরা হিসেবে দেখা যায় নমুনা পরীক্ষার ফলে সাড়ে ৪৪ জন করোনা আক্রান্ত।
নমুনা সংগ্রহ বুথ সূত্রে জানা যায়, নাগরিকদের আগ্রহ না থাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়েও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা বাড়ানো যাচ্ছে না। এখনও নমুনা দেয়ার বিষয়ে তাদের মধ্যে কিছুটা ভীতি কাজ করছে। লোকলজ্জায়ও কেউ কেউ সংক্রমণ বা উপসর্গ আড়াল করতে চাচ্ছেন এমনটাই জানিয়েছেন লকডাউন এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, মানুষের মাঝে ভীতি দূর করতে সচেতনতামূলক প্রচারণা করা হচ্ছে। এলাকাজুড়ে মাইকিং করা হচ্ছে। বাসায় বাসায় ডাক্তার গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। এর পরেও মানুষ স্বেচ্ছায় নমুনা দিতে তেমন একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আর এ কারণেই ওই এলাকায় রোগী শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ৪ জুলাই থেকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয় ওয়ারী এলাকাকে। কিন্তু কোনোভাবেই এই এলাকা থেকে সংক্রমণ কমানো যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ও সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। গত কয়েকদিন থেকে এ তিনটি প্রতিষ্ঠানের শতাধিক কর্মীর সমন্বয়ে গঠিত টিম বাসায় গিয়ে রোগীর খোঁজ নিচ্ছেন। যাদের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তাদের নমুনা দিতে বলা হচ্ছে। এর পরেও মানুষ আগ্রহী হচ্ছে না। তবে স্থানীয়রা বলছেন, আস্থা না থাকায় তারা নমুনা দিতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
জানা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. রাজন পাতিলের পরামর্শে আইইডিসিআরের ২৮ জন এবং সিটি কর্পোরেশনের ৮০ জন ডাক্তার ও কর্মী বাসায় বাসায় গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। ডাক্তাররা রোগীদের ফোন করে খোঁজখবর জানার চেষ্টা করছেন। তারা কোথাও কোনও উপসর্গযুক্ত ব্যক্তি আছে কিনা তা খুঁজছেন। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষ অনেক সময় তাদের ফোনও ধরতে চাচ্ছে না।
ওয়ারীর নমুনা সংগ্রহ বুথের দায়িত্বে থাকা ডিএসসিসি অঞ্চল-৫ এর সমাজকল্যাণ শাখার তত্ত্বাবধায়ক নুরুল ইসলাম খান নাঈম বলেন, বাসায় বাসায় গিয়ে করোনা উপসর্গ আছে কিনা তা দেখার চেষ্টা করছি। কিন্তু কেউ নমুনা দিতে না চাইলে তো আমরা জোর করে নিতে পারি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।