Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মগড়া নদীর ওপর নবনির্মিত বেইলি ব্রিজ

প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পানির তোড়ে ধসে গেল সংযোগ সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেই
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা
ঠিকাদার আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা, দায়িত্বে অবহেলা আর গাফিলতির কারণে নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক নেত্রকোনা শহরের মগড়া নদীর উপর নব-নির্মিত বিকল্প বেইলী সেতুর উত্তর দিকের সড়ক অংশ গত ২৪ জুলাই মগড়া নদীর পানির ¯্রােতে ধসে গেলেও অদ্যাবধি মেরামত করার কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে যে কোন মুহূর্তে পুরো বেইলী সেতুটি ধসে যেতে পারে বলে এলাকাবাসীর আশঙ্কা। নেত্রকোনা জেলা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় মগড়া নদীর উপর অর্ধশত বছর পূর্বে নির্মিত ব্রিজটির বিভিন্ন অংশের পাটাতন বিভিন্ন সময় ধসে পড়ায় জোড়াতালি দিয়ে তা কোন রকমে যানবাহন চলাচল করে আসছিল। ব্রিজের উপর দিয়ে হালকা কোন যানবাহন চলাচল করলেও যে কম্পনের সৃষ্টি হয়, তাতে পথচারীদের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দেয়। স্থানীয় এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সংগঠন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি ভেঙে সেখানে সময়ের চাহিদা অনুযায়ী প্রশস্থ দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানিয়ে আসছিল। জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে সড়ক ও জনপথ বিভাগ জরাজীর্ণ ভগ্নদশাপ্রাপ্ত ব্রিজের স্থলে একটি অত্যাধুনিক ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু ব্রিজ নির্মাণের শুরুতেই বিকল্প বেইলী ব্রিজের নির্মাণ নিয়ে দেখা দেয় গলদ। গত এপ্রিল মাসে বিকল্প বেইলী ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। অত্যন্ত নি¤œমানের কাজ হওয়ায় ব্রিজের উত্তর অংশের ফিলার হেলে পড়ে। পরে তা ভেঙে পুনরায় ফিলার নির্মাণ করে সেখানে বেইলী ব্রিজ নির্মাণ ও এ্যাপ্রোচ সড়ক তৈরি করা হয়। জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে সামান্য বৃষ্টিতে এ্যাপ্রোচ সড়কের উত্তর অংশের মাটি ও বালির বস্তা ধসে পড়ে। সেটি ঠিক করার আগেই মগড়া নদীর পানির তোড়ে বেইলী ব্রিজের এ্যাপ্রোচ সড়ক দ্বিতীয়বার ধসে পড়ায় নাগরিকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়। বিকল্প বেইলী ব্রিজ ও এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণে অত্যন্ত নি¤œমানের কাজ হয়েছে বলে স্থানীয় জনগণের অভিযোগ। সওজ সূত্রে জানা যায়, মগড়া নদীর উপর প্রশস্থ দৃষ্টিনন্দন নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য সড়ক ও সেতু বিভাগ থেকে সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে ময়মনসিংহের ‘রেজভী কনস্ট্রাকশন’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রিজ নির্মাণের কাজ পায়। ইতিমধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ব্রিজ নির্মাণের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। কার্যাদেশ অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে শেষ হবার কথা রয়েছে। কার্যাদেশ পাওয়ার ৭ মাস অতিবাহিত হলেও ব্রিজ নির্মাণের তেমন কোন তৎপরতা স্থানীয় জনগণের দৃষ্টিতে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কেবল যেনতেনভাবে একটি বিকল্প বেইলী ব্রিজ ও এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। তাও ধসে পড়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের যোগ্যতা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে অফিসে দেখা করতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রেজভী কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী পান্নার মোবাইলে বার বার রিং করা হলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মগড়া নদীর ওপর নবনির্মিত বেইলি ব্রিজ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ