পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার সংক্রমণ রোধে রাজধানীর ওয়ারীতে লকডাউনের গতকাল ছিল ১৪তম দিন। লকডাউনের মধ্যেও সংক্রমিত হচ্ছেন অনেকেই। স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবকরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি অনেকেই মানতে চান না। ওয়ারীতে স্থাপিত কন্ট্রোলরুমের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী নতুন করে আরও ২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আইইডিসিআরের হিসাব অনুযায়ী ৪৬ জন করোনা রোগী থাকলেও গতকাল পর্যন্ত ওয়ারীতে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬ জনে।
লকডাউন এলাকা সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এই এলাকায় বিভিন্ন প্রবেশপথ বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওয়ারী বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন এবং টিপু সুলতান রোড দিয়ে প্রবেশের দুটি পথ খোলা রাখা হয়েছে। সেখানে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা রয়েছেন পাহারায়।
স্বেচ্ছাসেবক ও ওয়ারী থানা শেখ রাসেল শিশু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান জেসি বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছি। জনগণকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া থেকে দৈনন্দিন খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তাদের সচেতন করতে বাসায় বাসায় লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। র্যাংকিং স্ট্রিটের বাসিন্দা হোসেনে আরা বলেন, লকডাউন সবার জন্যই ভালো। ওষুধ কেনার জন্য বাইরে বের হয়েছি। তবে লকডাউনে থাকতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
ওয়ারী থানার এসআই মো. শাহজাহান বলেন, মানুষকে ঘরে রাখতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। সব ধরনের প্রচার চালালেও কেউ কেউ নানা অজুহাতে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আমরা কাউকে বের হতে দিচ্ছি না। স্থানীয় কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো বলেন, মানুষকে ঘরে রাখা মানে তার দৈনন্দিন এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। এখানকার নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাছ, মাংস, সবজি, ফলসহ সব ধরনের পণ্য যেন কিনতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ওয়ারীতে ৪ জুলাই শুরু হওয়া ২১ দিনের লকডাউন শেষ হবে ২৫ জুলাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।