মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত এবং চীনের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে আবারও আগ্রহ প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে শান্তি ফেরাতে তিনি সব কিছু করতে রাজি। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের মুখপাত্র। এর আগেও একবার মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। তবে চীন, ভারত দুই দেশই তার সেই প্রস্থাব প্রত্যাখান করে।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিক সম্মেলনে ভারত-চীন প্রসঙ্গ উঠে এলে ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কাইলি ম্যাকনানি। তিনি বলেন, ভারত আমেরিকার বন্ধু। আর চীনের মানুষকে আমেরিকা পছন্দ করে। ফলে দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ট্রাম্প সব কিছু করতে প্রস্তুত।
এর আগে, লাদাখে ভারত-চীন সংঘাত শুরু হওয়ার পরেই ট্রাম্প মধ্যস্থতার কথা বলেছিলেন। যদিও দুই দেশই তখন তা নাকচ করে দেয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সহ একাধিক উচ্চপদস্থ সচিব সে সময় ভারতের পক্ষেও কথা বলেছিলেন। গত কয়েক দিন তারা লাগাতার চীনের বিরুদ্ধে কথা বলে গিয়েছেন। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আধিপত্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের এই বক্তব্য নতুন করে ভাবাচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
বস্তুত, এই মুহূর্তে ভারত এবং অ্যামেরিকার সম্পর্ক অভূতপূর্ব। করোনার আগে ট্রাম্পের শেষ বিদেশ সফর ছিল ভারত। কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দেয়া থেকে শুরু করে লাদাখ সংকট, সব ক্ষেত্রেই কূটনৈতিক মহলে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রকাশ্যে ভারতকে সমর্থন জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, করোনা নিয়ে চীনের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। হংকং সংকটে চীনের সঙ্গে প্রকাশ্য বিতর্ক চলছে তাদের। হংকংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কও বন্ধ করেছে তারা। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের এই দ্বন্দ্বমূলক সম্পর্ক কূটনৈতিক ভাবে ভারতের লাভ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অ্যামেরিকা চীনের উপর চাপ বাড়াতেই ভারতকে আরও গুরুত্ব দেবে।
কিন্তু শুক্রবার ট্রাম্প যে কথা বলেছেন তাতে ভোটের রাজনীতি দেখতে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য, আর কয়েকমাস বাদেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থতা ও অর্থনৈতিক সংকটে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা অনেক কমে গেছে। এরপর, ফ্লয়েডের ঘটনার পরে অসংখ্য মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ভারতীয় এবং চীনাদের ভোট ট্রাম্পের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
২০১০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভোটাধিকারপ্রাপ্ত ভারতীয়ের সংখ্যা ৪৯ শতাংশ বেড়েছে। এই মুহূর্তে সেখানে বসবাসকারী ভারতীয় ভোটদাতার সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ। চীনা ভোটাদাতার সংখ্যাও ৩০ লাখের কাছাকাছি। তাদের সমর্থন পেলে ট্রাম্প অনেকটাই সুবিধাজনক জায়গায় থাকতে পারবেন। সে কারণেই বিশাল আয়োজন করে ভারত সফরে এসেছিলেন ট্রাম্প। নরেন্দ্র মোদি তার বক্তৃতায় কার্যত ট্রাম্পের জন্য ভোট চেয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সে ভাবনা মাথায় রেখেই ফের ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের বার্তা দিলেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে বললেন, তিনি ‘চীনের মানুষ’কে ভালোবাসেন। অর্থাৎ, চীনের সরকারের সঙ্গে তার দ্বৈরথ চললেও সেখানকার সাধারণ মানুষের প্রতি তার কোনও ক্ষোভ নেই। সূত্র: দ্য উইক, ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।