Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোদির পর এবার লাদাখে মুখ রক্ষার সফরে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২০, ৩:৪১ পিএম | আপডেট : ৩:৪৪ পিএম, ১৭ জুলাই, ২০২০

চীনের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এবার দু’দিনের সফরে লাদাখে গিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তার সঙ্গে রয়েছেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। চীনের কাছ থেকে বিতর্কিত জমি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হওয়ায়, মুখ রক্ষার খাতিরেই তার এই সফর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চলতি মাসের শুরুতেই চমক দিয়ে লাদাখে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করেছিল, মোদির সেই সফর ছিল চীনের প্রতি বিশেষ বার্তা। মোদিও বলে এসেছিলেন, প্রয়োজনে ভারত যুদ্ধ করবে। ধারণা করা হচ্ছিল, তাতে ভয় পেয়ে পিছু হঠবে চীন। তবে, বাস্তবে চীন অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে। মোদির বার্তা ফাঁকা বুলি বলে প্রমাণিত হয়েছে।

দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনে কয়েকদফা বৈঠকের সর্বশেষটি অনুষ্ঠিত হয় গত বুধবার। সেখানে গলওয়ান-সহ প্যাংগং লেকের ফিংগার ৪ থেকে ৮ পর্যন্ত এলাকা থেকে চীনকে সৈন্য সরিয়ে নিতে বলে ভারত। চলতি বছরের এপ্রিলের আগে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুই দেশের সৈন্যদের অবস্থান যেমন ছিল, ভারত চায় সেই অবস্থায় ফিরে যেতে। তবে তাদের প্রস্তাবে রাজি নয় চীন। তাদের অনড় অবস্থানে প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছে মোদি সরকার। এমন অবস্থায় মুখ রক্ষার খাতিরে লাদাখে গেলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ।

সফরে যেয়ে লেহ-তে লুকুং ফরওয়ার্ড এলাকা পরিদর্শন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেখানে সেনা ঘাঁটিতে তার সামনে মহড়া চলে। আধুনিক অস্ত্র, প্যারা ড্রপিংয়ের পাশাপাশি যুদ্ধে প্রস্তুত ট্যাংকের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর শক্তি প্রদর্শনের সাক্ষী থাকেন রাজনাথ সিং। পাশাপাশি পিকা মেশিনগান হাতে তাকে নিশানা করতেও দেখা যায়। এর পর লাদাখে হাসপাতালে ভর্তি আহত জওয়ানদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি। সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন সেনাবাহিনীর স্তাকনা এবং লুকুং পোস্টেও যাওয়ার কথা তার।

এ দিন রাজনাথ বলেন, ‘আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত বিরোধ মেটানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু তা কতটা মেটানো যাবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। তবে একটা কথা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, পৃথিবীর কোনও শক্তিশালী দেশ আমাদের এক ইঞ্চি জমিও কেড়ে নিতে পারবে না। তবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে, তার চেয়ে ভাল কিছু হয় না।’

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন গলওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন ভারত ও চীনের সেনা সদস্যরা। সংঘর্ষে নিহত হন ২০ জন ভারতীয় সেনা। চীনের কতজন সেনা নিহত হয়েছিলেন, সেই তথ্য জানানো হয়নি। এরপরই বিতর্কিত এলাকার বেশিরভাগেই দখল প্রতিষ্ঠা করে চীন। এরপর, অনেক আলোচনার পরেও তাদেরকে পিছু হঠতে রাজি করাতে পারেনি ভারত। সূত্র: এনডিটিভি, টাইমস নাউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ