মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনার মহামারীর কারণে শহরগুলো লকডাউনে থাকায় এবং ক্রেতারা ঘরে বসে থাকায় এখনও সঙ্কুচিত হয়ে চলেছে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। তবে চীনের ক্ষেত্রে চিত্রটি একেবারেই ভিন্ন। গত বৃহস্পতিবার চীনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ৩.২ শতাংশ প্রসারিত হয়েছে। যদিও অর্ধ শতাব্দীতে প্রথমবারের মতো গত জানুয়ারি থেকে মাচের্র মধ্যে হঠাৎ পাল্টে চীনের অর্থনীতিতে ৬.৮ শতাংশ সঙ্কোচন ঘটেছিল। তবে, ধীরে ধীরে মন্দা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু তরেছে দেশটি।
বিশেষজ্ঞরা চীনের অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে ওঠার পেছনে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক পরীক্ষা এবং ভ্রমণ বিধিনিষেধের কঠোরতার বিষয়ে দেশটির সরকারের সাফল্যের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তবে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের জন্য গার্হস্থ্যব্যয়ের পরিবর্তে মহাসড়ক ও রেললাইন এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত প্রকল্পে চীন সরকারের অব্যাহত বিনিয়োগের সাফল্যকেও কারণ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। চীনের এ ধরনের উদ্যোগের ফলে দেশটিতে মহামারীর সময়েও মুদি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যাপক বিক্রয় অব্যাহত থেকেছে। তবে রেস্তোরাঁর খাবার, হোটেল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবাতে জনগণের আগ্রহ এখনও পুরোপুরি ফিরে আসেনি। গত বুধবার চলতি মাসের প্রথমার্ধের সাংহাই ও শেনজেন স্টক মার্কেটের মূল্য সূচকও ১৪ শতাংশ বেড়েছে। ফলে, চীনের অর্থনীতিতে এই বছরের প্রথম দিকের তুলনায় একটি সতর্ক আশাবাদের উদয় হচ্ছে। দেশটির অন্যতম বৃহৎ অনলাইন কেনাকাটার প্লাটফর্ম জেডি ডটকমের চীনা অর্থনীতিবিদ শেন জিয়ানগুয়াং বলেছেন, ‘অর্থনীতি নিঃসন্দেহে উন্নতির দিকে রয়েছে।’ চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোও গত বৃহস্পতিবার বলেছে যে, গত জুনে স্থায়ী সম্পদে বিশেষত অবকাঠামোগত ক্ষেত্রে বিনিয়োগ জোরদার করায় শিল্প উৎপাদন ৪.৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সে তুলনায় খুচরা বিক্রয় একটু দুর্বল। বড় শহরগুলিতে মোটামুটি শক্তিশালী ভোক্তাগোষ্ঠী থাকলেও এখনও দেশটির বেশিরভাগ পরিবার গ্রামে বাস করে এবং চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম। এ কারণে গত বছরের তুলনায় গত মাসে চীনের শিল্প উৎপাদন তা ১.৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
তবে, করোনার অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে অবকাঠামোগত বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে চীন প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। চীন ডালিয়ানে একটি পাতাল রেলপথ নির্মাণ এবং শি’আনে একটি রেল স্টেশন সংস্কারের মতো নির্মাণে প্রস্তুত প্রকল্পগুলির জন্য অর্থ প্রদানের জন্য ঋণপত্র জারি করার জন্য দ্রæত অনুমোদন দেয়। সরকার শ্রমিকদের ছাটাই না করার শর্তে ব্যবসায়ীদের দ্রæত ঋণ এবং অন্যান্য ভর্তুকি সরবরাহ করে। যদিও চীন এখোনও পুরোপুরিভাবে মন্দা কাটিযে উঠতে পারেনি, তবে চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে চীনের অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে আংশিকভাবে একটি পরিসংখ্যানগত তাৎপর্য রয়েছে। গত এপ্রিল ও মে’তে চীন আমদানিতে কম ব্যয় করেছে। কারণ তেল, তামা এবং অন্যান্য পণ্যাদির দাম কমেছে। এর অর্থ চীনের একটি বৃহত্তর বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল এবং একটি বৃহত্তর বাণিজ্য উদ্বৃত্ত যে কোনো দেশের দ্রæত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হিসাবে দেখেন বিশেষজ্ঞরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।