পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোরবানীর ঈদে ভারত থেকে মাদক ও গরু চোরাচালান ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে রাজশাহীর চরখিদিরপুর গ্রামের বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে গ্রামের ১৬ জনকে নিয়ে দুটি দল গঠন করা হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৮ জন সীমান্ত পাহারা দেন। তারা ৪ জন করে ভাগ হয়ে সীমান্তে নজর রাখেন। একইভাবে অপর ৮ জন রাত ১২টা থেকে ভোর পর্যন্ত সীমান্ত পাহারা দেন। বিজিবির সঙ্গে সমন্বয় করেই তারা এই কাজ করছেন।
জানা যায়, রাজশাহীর সীমান্ত ঘেষা গ্রামের নাম চরখিদিরপুর। এ গ্রামের তিন পাশেই ভারত সেখানে নেই কাঁটাতারের বেড়া। তাই এ পথে চোরাচালানের ঝুঁকি বেশি। সে কারণেই গ্রামবাসী সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন। কখনও কোন এলাকায় সন্দেহজনক কিছু মনে হলে খবর দেন বিজিবিকে। তারা গিয়ে পরিস্থিতি দেখেন।
গ্রামবাসী বলছেন, বিজিবির সঙ্গে এভাবে সীমান্ত পাহারা দেয়ায় এ পথে কোন মাদক আসে না। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে গরুও আসছে না। আর বিজিবি বলছে, গ্রামবাসীর স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণে দুর্গম এই চরে তাদের কাজও অনেক সহজ হয়ে গেছে। এভাবে প্রত্যেক এলাকায় গ্রামবাসীর অংশগ্রহণ থাকলে চোরাচালান বন্ধ করা অনেক সহজ হতো। তাহলে সীমান্ত হত্যাও বন্ধ হতো।
চরখিদিরপুরের বাসিন্দা পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য কোহিনুর বেগম জানান, তাদের গ্রাম এখনও করোনামুক্ত। কিন্তু ভারত থেকে যদি গরু আসে তাহলে করোনার সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। তাই বিজিবি তাদের বুঝিয়েছে যে নিজেদের গ্রাম নিজেদেরকেই নিরাপদ রাখতে হবে। তাই দুটি দল গঠন কর তাদের গ্রামের পুরুষরা ৯ জুলাই থেকে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন।
রাতে সীমান্ত পাহারায় থাকা গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, চরে চাষবাস করি গরু-ছাগল পালন করি। সামনে কোরবানি ঈদ। ভারত থেকে যদি গরু আসে তাহলে বাংলাদেশের গরুর দাম কমে যাবে। আমার যে গরুর দাম ৮০ হাজার, সেটা তখন ৫০ হাজারে বিক্রি করতে হবে। আমিই লোকসানে পড়ব। তাই ভারতীয় গরু আসা বন্ধ থাকা দরকার। সেই ভাবনা থেকেই আমি সীমান্ত পাহারা দেই।
বিজিবির রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সীমান্ত এলাকায় আমাদের চারটি বিওপি রয়েছে। সবখানেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা একটি করে কমিটি গঠন করেছেন। আমাদের প্রয়োজন হলেই সেই কমিটির সদস্যরা এভাবে সীমান্ত পাহারায় আসেন।
তিনি বলেন, কোনকিছুর বিনিময়ে নয়, গ্রামবাসী স্বত:স্ফূর্তভাবেই এগিয়ে আসেন। বিজিবি দেখা যাচ্ছে সীমান্তের একপাশে গিয়েছে, গ্রামবাসী অন্য পাশে নজর রেখেছেন। এভাবেই আমরা কাজ করছি। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার উদ্দেশ্যেকে সামনে রেখেই আমরা এভাবে কাজ করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।