Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পয়েন্ট ভিত্তিক ইমিগ্রেশন নীতিমালা ঘোষনা করলো বৃটেন সরকার

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০২০, ৭:৫৪ পিএম

ব্রেক্সিট পরবর্তী ইমিগ্রেশন নীতি ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ হোম সেক্রেটারী প্রীতি প্যাটেল। নতুন পয়েন্ট ভিত্তিক ইমিগ্রেশন নীতিতে ব্রিটেনে প্রবেশ করতে কম পক্ষে ৭০ পয়েন্ট অর্জন করতে হবে একজন কর্মীকে। গত ৩১ জানুয়ারি ইইউ’র সঙ্গে যুক্তরাজ্যের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদে আগামী জানুয়ারী থেকে ইইউ নাগরিকদেরও যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে হবে ভিসা নিয়ে। ব্রেক্সিট-পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন এই অভিবাসন নীতি হাতে নিয়েছে বৃটেন সরকার। ২০২১ সাল থেকে চালু হতে যাওয়া এ নিয়ম ইইউ এবং ইইউ বহির্ভূত সব দেশের নাগরিকদের জন্য কার্যকর হবে সমানভাবে। নতুন নিয়ম ইইউ বহির্ভূত দেশের নাগরিকদের জন্য কিছুটা থাকবে শিথিল। তবে নতুন এই ঘোষণায় নেই দীর্ঘদিন যাবত ব্রিটেনে বসবাসরত লাখ লাখ অবৈধদের কোন প্রতিশ্রুতি। এতে হতাশ মানবাধিকার কর্মীসহ, ভবিষ্যত নিয়ে টানাপোড়নে থাকা লাখ লাখ মানুষের।

একই সাথে স্যোশাল কেয়ারার ওয়ার্কাদেরর দেয়া হয়নি ফাস্ট ট্র্যাক ভিসা সুবিধার কোন নিশ্চিয়তা। স্যোশাল কেয়ারারদের ফাস্ট ট্র্যাক সুবিধা না দেয়ায় সমালোচনা করেছে এনএইচএস সহ সংশ্লিষ্টরা। ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন ত্যাগের পর ২০২১ সালের জানুয়ারী মাস থেকে নতুন এ ইমিগ্রেশন নীতিই বাস্তবায়ন করবে সরকার। এতে ব্রিটেনের ভেতর থেকেই কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধির উপর দেয়া হয়েছে উৎসাহ। এর মধ্যে দিয়ে বিশ্বের যেকোন দেশ থেকে ভালো কর্মী আনার সুযোগ সৃস্টি করা হয়েছে বলে দাবী হোম সেক্রেটারীর। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, যোগ্যতা থাকলে ব্রিটেনে প্রবেশের এ সুযোগ বাঁধাহীন। পয়েন্ট ভিত্তিক নতুন নিয়মের কয়েকটি উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হচ্ছে, বিদেশী অপরাধীরা যারা ১২ মাস কারাগারে ছিলো এবং যাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা রয়েছে তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হবে ব্রিটেনে প্রবেশ। একই সাথে ব্রিটেনে যদি কোন অভিবাসী ১ বছরের বেশি দন্ডিত হন, তাকেও নতুন অভিবাসন বিধি মোতাবেক ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে নিজে দেশে। ব্রিটেনে কাজের জন্য প্রবেশ করতে হলে কমপক্ষে অর্জন করতে হবে ৭০ পয়েন্ট। যারা ব্রিটেনে প্রবেশ করতে চান তাদের নূন্যতম বেতনের থ্রেশহোল্ড থাকতে হবে। ফাস্ট ট্র্যাক হেলথ এন্ড কেয়ার ভিসার সুযোগ থাকবে এনএইচএস এর নিয়ম মেনে। তবে স্যোশাল কেয়ার স্টাফ পাবে না এই সুযোগ। দক্ষ কর্মীরা বৃটেনে নিয়ে আসতে পারবে তাদের পরিবার। নতুন নিয়মে বেশির ভাগ কর্মীকেই সর্বনিম্ন বছরে বেতন হতে হবে ২৩,০৪০ পাউন্ড। তবে কিছু ক্ষেত্রে দক্ষতা সম্পন্ন ল্যাব টেকনিশিয়ানদের বছরে ২০,৪৮০ পাউন্ড হলেও চলবে বেতন। অনুমোদিত চাকুরী দাতা স্পন্সর কাজের অফার দিলে অর্জন করা যাবে৫০ পয়েন্ট। বাকী ২০ পয়েন্ট অর্জন করা যাবে যদি চাকুরী প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার বা তথ্য প্রযুক্তি মতো কাজে দক্ষতা থাকে। একই সাথে বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রযুক্তি, প্রকৌশলী, গনিতবিদদের ক্ষেত্রেও নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে ২০পয়েন্ট অর্জনের পাশাপাশি বার্ষিক বেতন হতে হবে ২৫৬০০ পাউন্ড। ইংরেজী জানা না জানা কর্মীদের ক্ষেত্রে বার্ষিক বেতন কম বা বেশি হওয়ার পাশাপাশি পয়েন্ট ও নির্ধারন করা হয়েছে কম বেশি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, যুক্তরাজ্যের মধ্যে থেকে কর্মীদের বিনিয়োগে নিয়োগকারীদের দেওয়া হবে উৎসাহ। এছাড়া তিনি বলেন, নতুন অভিবাসন ব্যবস্থা আকর্ষনীয় হবে বিশ্বের সেরা এবং প্রতিভাবানদের কাছে। এদিকে ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিক থমাস-সাইমন্ডস বলেছেন, “স্বাস্থ্য ভিসা থেকে কেয়ারওয়াকারদেকে বাদ দেওয়া, এটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, যারা দক্ষতার এবং আন্তরিকতার সাথে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে টরি সরকার মূল্যায়ন করছে না তাদের। প্রধানমন্ত্রীর এক মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাজ্যে পড়াশুনা করতে আসা শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা শেষে দুই বছর অতিরিক্ত যুক্তরাজ্যে অবস্থান এবং কাজের সুযোগ দেয়া হবে তাদের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ