Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাহেদের বিচার হবেই- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০২০, ১:২৭ পিএম | আপডেট : ১:৫০ পিএম, ১৫ জুলাই, ২০২০

রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ জঘন্য অন্যায় করেছে। তার বিচার হবেই। বুধবার সাহেদের গ্রেফতারের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, তার কারণে ইতালিতে আজকে করোনার জন্য বাংলাদেশিদের দোষারোপ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে সাহেদ জঘন্য অপরাধ করেছে। তার বিচার তো হবেই।
তিনি বলেন, সাহেদের সঙ্গে অনেকেরই যোগাযোগ ছিল। না হলে এত বড় চেইন সে কীভাবে মেইনটেইন করেছে। আমার সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল। সেটা আমি ইতোমধ্যে বলেছি। আমিও তার হাসপাতালে ৫-৬ জন রোগী পাঠিয়েছিলাম। যেহেতু সে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিল। সরকার স্বীকৃত ছিল। তারপরও তাকে ছাড়া হয়নি। আমরা বলেছি অন্যায় করলে কাউকে ছাড়া হবে না। তাকে ধরা হয়েছে। আমরা এখন আমাদের আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আদালতের কাছে হস্তান্তর করবো। বিচার করবেন আদালত।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি শুরু থেকেই বলছি যে তদন্ত সাপেক্ষে সাহেদের বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। সে কী করেছে, না করেছে সেগুলো তো আমরা জানি। তারপরও তো একটা অফিসিয়াল তদন্ত হয়। মামলা হয়েছে। তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করা হবে আদালতে। বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৬ জুলাই র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়। একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রæপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিলেন। সাহেদের খোঁজে সোমবার মৌলভীবাজারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হলেও সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।



 

Show all comments
  • jack ali ১৫ জুলাই, ২০২০, ৪:৪৪ পিএম says : 0
    আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যখন আমার উম্মত ১০টা কাজ করবে, তখন তাদের উপর বিপদ নেমে আসবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে রাসূল, কী কী? তিনি বললেনঃ ▣ যখন রাস্ট্রীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করা হবে। ▣ যখন আমানত হিসেবে রক্ষিত সম্পদকে লুটের মাল হিসাবে গ্রহণ করা হবে (অর্থাৎ আত্মসাৎ করা হবে)। ▣ যাকাতকে জরিমানার মত মনে করা হবে। ▣ স্বামী যখন স্ত্রীর আনুগত্য করবে এবং মায়ের অবাধ্য হবে। ▣ বন্ধুর প্রতি সদাচারী ও পিতার সাথে দুর্ব্যবহারকারী হবে। ▣ মসজিদে হৈ চৈ হবে। ▣ জনগণের নেতা হবে সেই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যেকার সবচেয়ে নিকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী। ▣ মানুষকে তার ক্ষতির আশংকায় সম্মান করা হবে। ▣ গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের হিড়িক পড়ে যাবে। ▣ উম্মতের পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদেরকে অভিশাপ দেবে। তখন আগুনের বাতাস আসবে, মাটির ধস ও দেহের বিকৃতি ঘটবে।” — সহীহ তিরমিযী; আততারগীব ওয়াত তারহীবঃ ৩য় খন্ডঃ ১৫৪১।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ