গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সড়কপথে আগামী বুধ-বৃহস্পতিবারের মধ্যেই ভারতের সাথে ট্রানজিট শুরু হওয়ার খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এতে দেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও অর্থনীতির ওপরই কেবল বিরূপ প্রভাব পড়বে না, বরং জাতীয় নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়বে।
আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, সরকারের প্রথম মেয়াদ থেকেই আমরা দেখে আসছি দেশের জনগণের মতামত, সম্মতি ও জাতীয় স্বার্থের তোয়াক্কা না করে এক তরফাভাবে ভারতের সকল চাহিদা পুরণ করে যাচ্ছে। অথচ ভারতের সাথে সীমান্ত হত্যাকা-, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন ও বিশাল বাণিজ্য ঘাটতিসহ বাংলাদেশের অমীমাংসিত অজ¯্র ইস্যু রয়েছে, যার কোনটাই সমাধান করতে ভারত এগিয়ে আসেনি। নানা অজুহাত ও আশ্বাসের মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যাশাগুলো ঝুলিয়ে রেখে ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে ভারত তার স্বার্থের অনুকূল সবকিছুই আদায় করে নিচ্ছে। এবার বাংলাদেশের বহুমুখী ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করে ট্রানজিটটাও আদায় করে নিচ্ছে।
আল্লামা কাসেমী বলেন, চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর এমনিতেই দেশের আমদানী-রফতানীর ভার বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে। অনেক সময় সপ্তাহর পর সপ্তাহ বন্দরে জাহাজ জট লেগে থাকে। অন্যদিকে ঘনবসতির দেশ হওয়ায় ভূ-সঙ্কটের কারণে কম প্রশস্ততা ও অব্যবস্থাপনার কারণে মহাসড়কগুলোর ভঙ্গুর পরিস্থিতি ও দীর্ঘ জ্যাম লেগে থাকে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দুই সমুদ্র বন্দর থেকে ভারতের সাত রাজ্যে ট্রানজিট শুরু হলে দেশের প্রাধান প্রধান মহাসড়কগুলোতে গাড়ির চাপ বহুগুণ বেড়ে যাবে। বন্দরে ভয়াবহ জাহাজ জট শুরু হবে। এতে দেশের সামগ্রীক অর্থনীতি কত গভীর সঙ্কটে পড়তে পারে, ভাবতেও গা শিউরে উঠে।
তিনি বলেন, এর মধ্যে ভারতকে দেয়া হয়েছে বিনাশুল্কের ট্রানজিট সুবিধা। তখন পরিস্থিতি যা দাঁড়াবে, দেশের আমদানী-রফতানি বাণিজ্য ও অর্থনীতিই কেবল স্থবির হবে না, ভারতীয় গাড়ি চলাচল ও আমদানী-রফতানির জন্য সড়ক এবং বন্দর সচল রাখতে জনগণের ট্যাক্সের টাকাও খরচ করতে হবে। তাছাড়া ভারতের অবাধ আমদানী-রফতানী ও গাড়ি চলাচলের কারণে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বও হুমকির মুখে পড়বে।
আল্লামা কাসেমী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তাকে পাশ কাটিয়ে সরকার একতরফাভাবে যে হারে একে একে ভারতের স্বার্থ পূরণ করে চলেছে, তাতেও প্রমাণিত হয় এ সরকার দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে না, বরং ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে ভারত তুষ্টিতে বিভোর হয়ে আছে। আমরা বাংলাদেশের জন্য বহুমুখী সঙ্কট ও হুমকি সৃষ্টিকারী ট্রানজিটসহ ভারতের সাথে একতরফা সকল চুক্তি অবিলম্বে বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।