গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ক্যাসিনো ব্রাদারের উত্থান মূলত ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সেক্রেটারি সেই জয় গোপালকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তার হাত ধরেই আওয়ামী লীগ নেতা দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার উত্থান হয়। শুধু তাই নয়, গত ৫ বছরে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়া আগে থেকেই পারিবারিকভাবে জুয়া পরিচালনা করতেন। তবে ২০১৪ সালে ক্যাসিনোতে জড়ান তারা। এরপর তারা গত ৫/৬ বছরে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে- জমিসহ ২০টি বাড়ি, ১২০টি ফ্ল্যাট, জমি ২৫ কাঠা। ৯১ টি ব্যাংক একাউন্টে তাদের স্থিতিশীল টাকার পরিমাণ ১৯ কোটি টাকা হলেও লেনদেন করেছেন ২০০ কোটি টাকারও বেশি।
তিনি বলেন, তাদেও বেশিরভাগ সম্পদই দেশে। দুজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা চারটি মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত কাজও শেষ। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবে সিআইডি।
এনু-রুপনের উত্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০০৭ সাল থেকে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ওয়ানটেন খেলা হতো। সেখানে সংক্ষিপ্ত পরিসওে খেলা হতো। এনু-রুপনে উত্থান পারিবারিকভাবে। তাদের বাবা জুয়ারি ছিলেন। রাজধানীর সদরঘাটেই ছিল তাদের জুয়ার আড্ডা। সেখানেই তাদেও পেশাদার জুয়া কার্যক্রমের শুরু। এরপর ২০১৪ সালে বড় পরিসরে ক্যাসিনো কার্যক্রম শুরু হয় ইউরোপীয় আদলে।
জয় গোপাল সম্পর্কে ডিআইজি ইমতিয়াজ বলেন, ক্যাসিনোর সাথে সংশ্লিষ্টতার তথ্য আসার পর ৯ মাস আগেই আত্মগোপনে যান জয়গোপাল। সম্প্রতি আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। আমরা আশা করছি জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবো।
তাদের ক্যাসিনোতে কারা কারা যেতেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এনু-রুপনের বিরুদ্ধে চলমান চারটি মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দিচ্ছি, যারা জড়িত তাদের নাম আমরা মামলার চার্জশিটে রেখেছি।
এনু-রুপনের বড় ভাই রশিদ ভূঁইয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, তার সম্পর্কেও আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তাকেও ধরা হবে।
ক্যাসিনো থেকে প্রতি রাতে এনু-রুপনের কী পরিমাণ আয় হতো জানতে চাইলে সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, প্রতি রাতে হিউজ অ্যামাউন্ট লেনদেন হতো। বাট ইটস ডিপেন্ডস। ঠিক ফিগার দেয়া সম্ভব নয়। বুঝতেই পারছেন যাদের এতো প্রপার্টি থাকতে পারে, তাদের ইনকাম কী পরিমাণ হতে পারে! এতো প্রপার্টি তারা গড়েছেন ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালে, লেনদেনও এই সময়েই সবচেয়ে বেশি। দেশের বাইরে তারা সম্পদ পাচার করেছেন কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে অনুসন্ধানে যেটা মনে হয়েছে, তাদের ক্যাসিনোতে অর্জিত অর্থ তারা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অলঙ্কারের পেছনে ব্যয় করেছে।
তিনি বলেন, আমরা মূলত তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডােিরয়ের মামলা তদন্ত করছি। গেন্ডারিয়া থানার মামলায় ১৬ জন, সূত্রাপুরের দুটি মামলায় ১৫ ও ১০ জন এবং ওয়ারির মামলায় ১১ জনের বিরুদ্ধে আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।