বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লার দাউদকান্দির চাঞ্চল্যকর পৌর কাউন্সিলর মিলন খন্দকার ও তার ভাই মিরাজ খন্দকার হত্যাকান্ড এবং কেয়া চৌধুরী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামিদের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে মামলার বাদী ও তাদের পরিবারের লোকজন। গতকাল বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সামনে এ অভিযোগ তুলে ধরেন মিলন ও কেয়া পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে নিহত মিলনের পরিবার অভিযোগ করেন, বালুমহাল নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর দাউদকান্দি পৌর কাউন্সিলর মিলন খন্দকারকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। একই দিন মিলনের ছোট ভাই মিরাজ খন্দকার বাদী হয়ে শাহজান, ডালিম, ফারুক, দিলবারসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে দাউদকান্দি থানায় মামলা করেন। পরে এ মামলার আসামিরা জামিনে বের হয়ে আসে। ২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রায়পুর এলাকায় হত্যা করা হয় নিহত মিলনের ভাই মিরাজ খন্দকারকে। এ ব্যাপারে তার স্ত্রী সুবর্ণা খন্দকার ৬ জনকে আসামি করে দাউদকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেন। গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের তিনি জানান, পলাতক ও জামিনে থাকা আসামিরা প্রতিনিয়ত তাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
এদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে করা গুলিতে আহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী কেয়া চৌধুরীর মা অভিযোগ করেন, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর দাউদকান্দি পৌর এলাকায় তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া মেয়ে কেয়া চৌধুরীকে সম্পত্তিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মিলন হত্যা মামলার কয়েকজন আসামিসহ সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। ঢাকার একটি হাসপাতালে কেয়া এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় কেয়ার মা জাহানারা আক্তার তার মেয়েকে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগে শাহজান, ডালিম, ফারুক, দিলবারসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলা প্রত্যাহারের জন্য আসামিদের অব্যাহত হুমকির মুখে তারা নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।