গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর ও ইত্তেফাকুল মুসলিমীন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, চামড়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য কমিয়ে গরিবের হক্ব নষ্ট করছে। আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নূন্যতম ২০০০ টাকা নির্ধারন করতে হবে। আজ মঙ্গলবার কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবিতে সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ইত্তেফাকুল মুসলিমীনের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মুজীবুর রহমান হামিদী, মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা এনামুল হক মূসা, মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা ইমরান বারী সিরাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মুফতি আব্দুল্লাহ ইদরীস ও মাওলানা আব্দুল গাফফার
মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, বিভিন্ন দেশে চামড়ার মূল্য আগের মত থাকলেও বিগত কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশে চামড়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চামড়ার দাম কমিয়ে চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। অথচ চামড়ার তৈরিকৃত সকল জিনিস পত্রের দাম জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কোরবানিতে পশুর চামড়া ২০০/৩০০ টাকা দামে বিক্রি করতে হয়েছে। যার কারণে গত কোরবানীতে অনেকেই চামড়া বিক্রি না করে ফেলে দেয়া এবং মাটির নিচে পুতে রাখার দৃশ্য জাতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।
তিনি বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া এতিম ও গরিবের হক্ব। চামড়ার দাম কমানোর মাধ্যমে এতিম-গরিবের অধিকার নষ্ট করা হচ্ছে। বাংলাদেশের কওমী মাদরাসা ও এতিমখানাগুলো জনগণের দানে পরিচালিত। কোরবানির পশুর চামড়া মাদরাসার আয়ের বড় উৎস। যা দিয়ে অসহায় গরীব শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকগণ ঈদের আনন্দ ত্যাগ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চামড়া সংগ্রহ করে মাদরাসার লিল্লাহ বোর্ডিং সচল রেখেছেন। চামড়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চামড়া মূল্য কমিয়ে গরিবের হক্ব নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে। তিনি এবারের কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নূন্যতম ২হাজার টাকা নির্ধারন করে দেয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে কোরবানির পশুর ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ না হলে ইত্তেফাকুল মুসলিমীন বাংলাদেশ বিশিষ্ট আলেম-উলামা, দ্বীনদার বুদ্ধিজীবিদের সঙ্গে মতবিনিময়, মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কওমী মাদরাসার হিফজুল কুরআন বিভাগ খুলে দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা আশা করি এভাবে অচিরেই কোরআন-হাদিসের শিক্ষাকেন্দ্র সকল কওমী মাদরাসা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিবেন। মাদরাসা বন্ধ থাকলে কোরবানিদাতারা চরম দুর্ভোগে পরবেন। এছাড়া মাদরাসাগুলোও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।