নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ নারী ফুটবলের উজ্জ্বল নক্ষত্র মারিয়া মান্ডার উপলব্ধিতে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেতৃত্ব দিতে পারাটা সৌভাগ্যের ব্যাপার। জাতীয় কিংবা বয়সভিত্তিক দলে মাঝমাঠের চালিকাশক্তি মারিয়া মান্ডা অনূর্ধ্ব-১৫ ও ১৬ নারী দলের অধিনায়ক। একই সঙ্গে দুই দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করে নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে করছেন ময়মনসিংহের এই কিশোরী। তার কথায়, ‘মাঠে নেতৃত্ব দিতে পারাটা অবশ্যই সৌভাগ্যের। এ দায়িত্ব আমাকে আরো ভালো খেলতে উদ্বুদ্ধ করে।’ করোনা দুর্যোগ শুরু হলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও ক্লাবের ক্যাম্প বন্ধ হওয়ার পর থেকে অন্যসব ফুটবলারদের মতো ঘরবন্দী মারিয়া মান্ডা। বাড়িতে থাকলেও এখন পুরোপুরি অলস সময় কাটানোর সুযোগ নেই তার। কারণ বাফুফে তাদের ক্যাম্পের সব মেয়েকে বাড়িতে বসেই নিয়মিত শরীরচর্চা ও মাঝে মধ্যে মাঠে গিয়ে অনুশীলনের নির্দেশনা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে মেয়েদের প্রতিদিন নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং কে কখন কি করছেন তা পর্যবেক্ষণে রাখছেন। কোচের গাইডলাইন মেনে ফিটনেস ঠিক রাখার কাজগুলো করার পর মারিয়া বাসায় তার মাকেও সংসারের নানা কাজে সহযোগিতা করছেন। এরপর যতটুকু অবসর সময় পাওয়া যাচ্ছে গান শুনছে তা কাটাচ্ছেন। ফিটনেস ধরে রাখা নিয়ে সোমবার এক ভিডিও বার্তায় মারিয়া বলেন, ‘আমাদের শিডিউল দিয়ে দেয়া হয়েছে। স্যারের (ছোটন) নির্দেশনা অনুসারেই অনুশীলন করছি। এক বেলা মাঠে যাচ্ছি, আর বাড়িতে শরীরচর্চা করছি।’ বাংলাদেশ কিশোরী দলের অধিনায়ক আরো বলেন, ‘আমাদের লিগটা নিয়মিত হলে অনেকের উপকার হবে। আমরা পরিবারকে আর্থিকভাবে আরো সাপোর্ট দিতে পারব।’
কিশোরী বয়সেই দেশের তারকা ফুটবলার বনে গিয়ে মারিয়া উচ্ছ্বাসে গা ভাসিয়ে না দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বড় ফুটবলার হওয়ার জন্য। তার প্রত্যাশা আগামীতে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল আরো ভালো খেলবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।