রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
টি এম কামাল, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে
যমুনা নদী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জুলাই মাসের ভাঙনে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে অন্তত আট শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভোটুয়া মোড়ে পয়েন্টে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ৫০০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে ধসে পড়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বাঁধের ভেতরের ৫টি গ্রাম। ইতিমধ্যে চরগিরিশ, নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের ৪টি গ্রাম নদীগর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু ভাঙন রোধে কর্র্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সরেজমিনে ভোটুয়া গ্রামে যমুনা নদীর তীরে গিয়ে দেখা গেছে, নিজের জমিতে লকলকিয়ে বেড়ে ওঠা বাড়ন্ত পাটক্ষেতের অপ্রাপ্ত গাছগুলো কাটছেন গ্রামের কৃষক ফজলুল হক। পাটগাছ নয়, যেন নিজের ভাগ্যকেই কাঁচি দিয়ে কাটছিলেন মধ্যবয়সী এই কৃষক। শ্রাবণের পানি নয়, তার চোখ দুটো ছলছল করছিল। এই চিত্র এখন এই অঞ্চলের প্রায় ৫টি গ্রামের সাত মাস আগে চরগিরিশের গ্রামের হাবিবুর রহমান এসে আশ্রয় নিয়েছেন গিরিশ হাইস্কুল সংলগ্ন ওয়াপদা বাঁধের কাছে। এ নিয়ে পাঁচবার নদী ভাঙনের কবলে পড়েছেন তিনি। এক সময় পৈতৃক বসতবাড়ি আর কিছু জমি থাকলেও এখন তিনি উদ্বাস্তু। তার ভাগ্যকে যেন গ্রাস করেছে যমুনা। চরগিশির ইউপি সদস্য আকতারুজ্জামান তালুকদার জানান, বর্ষা মৌসুমে যমুনা নদীর এমন তাগুব এলাকাবাসী আগে কখনো দেখেনি। দুর্গত মানুষের আহাজারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এবং সরকারি দপ্তরে পৌঁছাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ ধরেই নিয়েছে, বর্ষা মৌসুমের সময় নদী ভাঙ্গনের। তিনি আরো জানান, এই অঞ্চলের পূর্বদিকে যমুনার মাঝখানে বিশাল চর জেগে ওঠায় ভাঙনের তীব্রতা এত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ভোটুয়া গ্রামের আব্দুল হাকিম মাস্টার জানান, ভোটুয়া মোড় এলাকার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড হয়তো আবারও নতুন করে কাজ করবে। অথচ কাজ করা হয়নি। কৃষকরা দিন দিন আরো নিঃস্ব হবে। তিনি আক্ষেপ করে জানন, বাঁধে আশ্রিত এমন অনেক পরিবার রয়েছে, যারা এক সময় বিঘা বিঘা জমির মালিক ছিল। অথচ এখন তারা অন্যের জমিতে মজুরি খেটে সংসার চালাচ্ছে। টাকার অভাবে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছে না। তিনি বলেন, নদী ভাঙন রোধে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সংস্কার কাজে শত কোটি টাকা খচর করা হলেও যমুনা নদীর পশ্চিম দিকের আগ্রাসন বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। ভাঙন রোধের নামে এক শ্রেণির ঠিকাদার আর কিছু অসাধু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী বিস্তর টাকার মালিক হবে। তবে আমার মতো ভাঙনকবলিত নিঃস্ব মানুষগুলোর হাহাকার থেকেই যাবে। এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, যমুনা নদীর ভাঙন রোধে অর্থ বরাদ্দ হলে চরগিরিশ পয়েন্টের কাজ শুরু করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।