পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ঈদুল আযহার জামাতও মসজিদে আদায় করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার। আজ রোববার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসাইন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ধর্ম সচিব মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় দেশের বরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত কারণে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজের জামাত ঈদগাহ বা উন্মুক্ত স্থানের পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক আদায়ের জন্য ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের অনুরোধ করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে আসন্ন ঈদুল আযহা ১৪৪১হিজরী উদযাপন উপলক্ষে ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত সভায় যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য এবং আনন্দমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন ও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এতে বলা হয়, এ বছর করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক ঈদের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহ এর পরিবর্তে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে বাণী প্রদান করবেন। এ উপলক্ষে সরকারি বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং "ঈদ মোবারক" খচিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড সমূহে প্রদর্শন ও আলোকসজ্জা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে এবং সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হবে।
এ উপলক্ষে দেশের সকল হাসপাতাল, কারাগার,সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধনিবাস,মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র সমূহে উন্নত মানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে। এ উপলক্ষে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রক্ষার্থে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোরবানি পরবর্তীতে পশুর রক্ত,বর্জ্য পদার্থ দ্বারা যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধময় না হয় সে বিষয়ে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঈদুল আযহার পূর্ববর্তী জুমার খুতবায় এবিষয়ে মুসল্লিদের সচেতন করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা ও বিজ্ঞাপ প্রচার করা হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. আনিস মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, তথ্য, জনপ্রশাসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় , ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিগণ এ ভার্চুয়াল সভায় অংশ গ্রহণ করেন।
সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম এর পক্ষে আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন, আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, মাওলানা মোসাদ্দিক বিল্লাহ আল মাদানী, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা ড. কাফিলুদ্দীন সরকার সালেহী, মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন, মাওলা নুরুল আমিন, হাফেজ মাওলানা আব্দুল আলিম রিজভী, মুফতি মাওলানা সাজিদুর রহমান, ও মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ ভার্চুয়াল সভায় অংশ গ্রহণ করে তাঁদের মতামত প্রদান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।