নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘধরে মাঠের বাইরে আছেন দেশের ক্রিকেটাররা। খেলা নেই, তাই অনুশীলনও বন্ধ। যে কারণে বর্তমানে ঘরবন্দী সব ক্রিকেটার। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তা থাকার কথা খেলোয়াড়দের। বিশেষ করে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ও নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের দুশ্চিন্তা বেশি হওয়ারই কথা। তবে তাদের দুশ্চিন্তা কাটাতে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর তা হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ও নারী ক্রিকেট দলের জন্য মনোবিদ নিয়োগ দেয়া। করোনাকালে আকবর-রুমানাদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়েই মনোবিদ নিয়োগ দিচ্ছে বিসিবি। দুই দলকে নিয়ে পাঁচটি করে ভার্চ্যুয়াল সেশন করার পরিকল্পনা নিয়েছে দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ইতোমধ্যে কানাডাপ্রবাসী মনোবিদ আলী খানের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে তারা। তথ্যটি শনিবার নিশ্চিত করেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছিলাম, মেন্টাল ট্রেনার আনবো নাকি স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট আনবো। আলোচনার পর আমরা ঠিক করেছি, এই মুহূর্তে আমাদের মেন্টাল ট্রেনার বেশি জরুরি। কারণ এখন যে সমস্যা খেলোয়াড়রা মোকাবেলা করছে, তা খেলা বিষয়ক। এটা অনিশ্চয়তা বিষয়ক সমস্যা। এ কারণে আমাদের মনে হচ্ছে মেন্টাল ট্রেনার ভালোভাবে সাহায্য করতে পারবেন খেলোয়াড়দের।’
আলী খান অনুমতি দিলে খেলোয়াড়দের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৯ ও নারী দলের স্টাফদেরও এই কার্যক্রমে যুক্ত করা হবে। সবমিলিয়ে ৫০ জনকে নিয়ে আগামী শনিবার থেকে ভার্চ্যুয়াল সেশন শুরু হতে পারে। এই কার্যক্রম সফল হলে হাই পারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি) ও জাতীয় দলকেও এর আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ডা: দেবাশীষ।
তার কথায়,‘মেন্টাল কোচ কথা বলবেন আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ও জাতীয় নারী দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে। মেন্টাল কোচের ক্লাসে সাপোর্টিং স্টাফরাও থাকবেন। যেহেতু সবকিছুর আলাদা বিভাগ আছে, তাই বিভাগীয় প্রধানের অনুমতি লাগে। এ কারণে আমরা অপেক্ষা করছিলাম। আজকের (শনিবার) মিটিংয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, ‘উনারা অনুমতি দিয়েছেন, আপনি এগোতে পারেন।’
দেবাশীষ যোগ করেন, ‘এখন আমি কানাডাপ্রবাসী মনোবিদ আলী খানের সঙ্গে কথা বলবো। যদিও ইতোমধ্যে কিছু কথা হয়ে গেছে তার সঙ্গে। এখন লজিস্টিক অর্থাৎ কখন, কোন সময়, কতজনকে নিয়ে ক্লাস হবে, এসব নিয়ে আলোচনা হবে। এগুলো ঠিক করতে হয়তো আমাদের তিন/চার দিন সময় লাগবে। দিনক্ষণ ঠিক হবে উনার সঙ্গে কথা বলে, উনার সুবিধা মতো করা হবে। তবে আশা করছি আগামী শনিবার থেকে শুরু করতে পারবো ভার্চ্যুয়াল সেশন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।