মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিক্ষোভ বা প্রতিবাদ সভা বন্ধ করতে সরকারের প্রস্তাবিত নতুন আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে গ্রিসের ১০ হাজার প্রতিবাদকারী। এথেন্সের রাস্তায় একের পর এক পেট্রোল বোমা ফেলেছে বিক্ষোভকারীরা। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের দিকে ফ্ল্যাশ গ্রেনেড ছুঁড়েছে পুলিশ। সেই সাথে শুরু হয়েছে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো। ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে পুরো এথেন্স শহর। পুলিশের কাঁদানে গ্যাসে বিপাকে পড়েছেন নারীরা, যাঁরা বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর তাঁরা দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে থাকেন। এ ঘটনায় পুলিশ নয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে।
এথেন্সের রাস্তার চেহারা দেখে মনে হচ্ছিল রণক্ষেত্র। রাস্তায় একের পর এক পেট্রোল বোমা ফেলেছে বিক্ষোভকারীরা। তার আগুন জ্বলছে। সেই আগুনের ফাঁক দিয়ে তেড়ে গেল পুলিশ। সোজা বিক্ষোভকারীদের দিকে। শুরু হলো কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো। বিক্ষোভকারীদের দিকে ফ্ল্যাশ গ্রেনেডও ছুঁড়ল পুলিশ। ধোঁয়ায় ভরে গেল পুরো জায়গাটা।
সরকারের প্রস্তাবিত নতুন আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাতে রাস্তায় নেমেছিলেন এথেন্স সহ গ্রিসের ৪০টি শহরের লোক। এই আইনে বিক্ষোভ বন্ধ করতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এথেন্সের কেন্দ্রস্থলে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় দশ হাজার প্রতিবাদকারী। তাঁদের অধিকাংশই গ্রিক কমিউনিস্ট পার্টির শ্রম ইউনিয়নের ডাকে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার বিক্ষোভে কড়াকড়ি বিষয়ে প্রস্তাবিত বিল নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক শেষ হয়। পরে ভোটাভুটির সময় ৩০০ সদস্যের পার্লামেন্টে ১৮৭ জন বিলের পক্ষে ভোট দেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকস মিটসোটাকিস বলেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার রক্ষা করা হবে। কিন্তু বিক্ষোভ এমনভাবে দেখাতে হবে যাতে শহরের জীবনযাত্রায় কোনও প্রভাবনা পড়ে। রাস্তায় গাড়ি চলাচল বা বানিজ্যিক কাজকর্ম বাধা পায় এমন বিক্ষোভ তাঁরা বরদাস্ত করবেন না। দেশের সব শহরের সিটি সেন্টারে হামেশাই ছোট ছোট বিক্ষোভ হচ্ছে। সেখান থেকে ভাঙচুর হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।
পার্লামেন্টের রিভিউ কমিটি, এথেন্স বার অ্যাসোসিয়েশন, ট্রেড ইউনিয়নসহ একাধিক সংস্থা আইন পরিবর্তনের বিরুদ্ধে। তাদের যুক্তি, অনুমোদিত নয় এমন বিক্ষোভবা প্রতিবাদ সভা করা হলে আয়োজনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর প্রতিবাদে হিংসা হলে আয়োজনকারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু এই ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনত অসুবিধা আছে বলে তারা মনে করছেন।
সম্প্রতি ভারতেও উত্তর প্রদেশ সরকার একই রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের সময় সরকারি সম্পত্তির যে ক্ষতি হয়েছিল, তার সমপরিমাণ অর্থ বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে নেওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছিল। তখন এ নিয়ে মামলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।