পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের চাকরির মেয়াদ (কার্যকাল) বাড়িয়ে জাতীয় সংসদে বিল পাস করা হয়েছে। বর্তমান গভর্নর ফজলে কবিরকে তার পদে আরও দুই বছর রাখতে বাঁধা থাকলো না। এতে গভর্নরের চাকরির বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৬৫ বছর থেকে ৬৭ বছর করা হলো। গতকাল জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। এর আগে গত বুধবার অর্থমন্ত্রীর পক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী এ বিলটি উপস্থাপন করেন।
১৯৭২ সালের ‘দ্য বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার’ সংশোধন করে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২০› নামে বিলটি পাস হয়। এরপর বিলটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। এই বিলটি পাসের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর (সদ্য মেয়াদ উত্তীর্ণ) ফজলে কবিরকে তার পদে আরও দুই বছর রাখতে বাঁধা থাকলো না। গত ২ জুলাই ছিল তার শেষ কার্যদিবস। ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় তাকে পুনঃনিয়োগ দিতে পারেনি সরকার। বর্তমান আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার অনুযায়ী ৬৫ বছরের বেশি বয়স হলে কেউ গভর্নর পদে থাকতে পারবেন না।
নতুন পাস হওয়া আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, দেশের রাজস্ব নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কার্যকর মুদ্রানীতি প্রণয়ন, মুদ্রা সরবরাহ ও ব্যাংক ঋণ ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ, মুদ্রা-মান সংরক্ষণ, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সমন্বয় প্রভৃতি বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। দেশের সুষ্ঠু আর্থিক ব্যবস্থাপনার স্বার্থে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যকর ও উন্নততর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রাজ্ঞতা, বিচক্ষণতা, কর্মদক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ববাচক গুণাবলি প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের মূল নিয়ামক শক্তি বিবেচনায় উক্ত পদে যোগ্যতা ও উপযুক্ত ব্যক্তিকে বিদ্যমান বয়সসীমা অপেক্ষা অধিকতর বয়সে নিয়োগের সুযোগ রাখা কিংবা প্রয়োজনবোধে উক্ত পদে সমাসীন ব্যক্তিকে বিদ্যমান বয়সসীমা অতিক্রমণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্যতা অনুসারে পুনর্নিয়োগ প্রদান কিংবা উক্ত ব্যক্তির নিয়োগের নিরবচ্ছিন্ন ধারাবাহিকতা বজায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন।
যাচাই-বাছাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় বিরোধীদলের সদস্যরা ব্যক্তিদের জন্য আইন সংশোধনের বিরোধিতা করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া রিজার্ভ ফিরিয়ে আনা, ব্যাংকের অর্থপাচার ঠেকানো, ঋণখেলাপি বৃদ্ধি ঠেকানোর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেন। তবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এই পরিবর্তন শুধু কোনো ব্যক্তির জন্য নয়, সবার জন্য। ব্যাংকের গতিশীল আনার জন্য এই পরিবর্তন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।