পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পেলেন আব্দুর রউফ তালুকদার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তাকে চার বছরের জন্য নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আগামী ৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন আব্দুর রউফ তালুকদার। বর্তমান গভর্নর ফজলে কবিরের মেয়াদ ৩ জুলাই শেষ হওয়ার পর তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। রউফ তালুকদার ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে (বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। দীর্ঘ বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বিভিন্ন সরকারি পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে পাবলিক ফাইন্যান্স এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় বিশেষত্বের কারণে তার কর্মজীবনের বেশির ভাগ সময়ই কেটেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে।
২০১৮ সালের ১৮ জুলাই অর্থসচিবের দায়িত্ব নেয়ার আগে অর্থ বিভাগে ১৮ বছরেরও বেশি সময় কাজ করেছেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এ ছাড়া দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি শিল্প, খাদ্য ও তথ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুরে প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) হিসেবেও কাজ করেন।
রউফ তালুকদার প্রায় চার বছর সিনিয়র সচিব হিসেবে সফলতার সঙ্গে অর্থসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। অর্থসচিবের দায়িত্ব পালনকালেই ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ (বিবিএসের নতুন হিসাবে, পুরোনো হিসাবে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (জিডিপি প্রবৃদ্ধি) অর্জিত হয়; যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি। দুই বছরের বেশি সময়ের করোনা মহামারির সঙ্কট মোকাবিলায়ও অর্থসচিব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা সামলে অর্থনীতিকে সঠিক পথে আনতেও রউফ তালুকদার বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।
বিসিএস ৮৫ ব্যাচের আব্দুর রউফ তালুকদারকে ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই অর্থসচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এরপর সিনিয়র সচিব হিসেবে পদমর্যাদা দেয়া হয়। করোনাকালীন দেশের অর্থনীতির ক্রান্তিকালে তিনি অর্থনীতি চাঙা করার জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় তার পরামর্শ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্কার প্রক্রিয়ায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে বাজেট সংস্কার, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, অবসরভোগী সরকারি চাকুরেদের ইএফটির মাধ্যমে পেনশন প্রদান এবং সঞ্চয়পত্রের অটোমেশনে তার ভূমিকা ছিল অনেক। ২০২১ সালে ‘ন্যাশনাল ইন্টেগ্রিটি অ্যাওয়ার্ড’ পান আব্দুর রউফ তালুকদার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর সাবেক অর্থসচিব ফজলে কবির ২০১৬ সালে চার বছরের জন্য গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান। সে হিসাবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ১৯ মার্চ। তবে এর ৩৪ দিন আগে, অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গভর্নর হিসেবে তার মেয়াদ ৩ মাস ১৩ দিনের জন্য বাড়িয়ে দেয় সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তিনি গভর্নর থাকবেন।
ফজলে কবিরের ৬৫ বছর বয়স পূর্ণ হয় ২০২০ সালের ৩ জুলাই। তার আগেই মে মাসে তার দায়িত্বের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়। ফজলে কবির ছয় বছরের বেশি সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।