গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি আসলো ছাত্রলীগ করা সাবেক ভাইবোনেরা তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো, কাউকে কাউকে দেখলাম অতিথিদের ব্যাগ পর্যন্ত গাড়িতে উঠিয়ে দিলো। অতিথিদের ফুট-ফরমায়েশেও অনেকেই খাটলো, দেখে মনটা কিছুটা খারাপ লাগলেও নিজেকে সামলে নিয়েছিলাম এই ভেবে যে- অতিথিদের সুন্দরভাবে আপ্যায়ন করতে হবে। এজন্যই ছাত্রলীগের ভাইবোনেরা খুশি মনে করে যাচ্ছে। কিন্তু সম্মেলনের পরে যখন পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরে সাব কমিটি হলো এবং তথাকথিত সাব কমিটিতে সাবেক ছাত্রনেতাদের বাদ দিয়ে গরু-ছাগল-ভেড়া-টাউট-হাইব্রিড-কাওয়া অনেককে দেওয়া হলো, প্রতিবাদ হলো নেত্রীর কান পর্যন্ত গেলো। পরবর্তীতে নেত্রীর নির্দেশে ছাত্রনেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হলো। পরবর্তীতে শুরু হলো বিভিন্ন দূতাবাসে আন্তর্জাতিক উপ কমিটির দাওয়াত দাওয়াত খেলা, যেখানে শুধুই দেখা যেতো অচেনামুখগুলো যাদের বেশীরভাগই শাহেদদের মতো মানুষেরা।
সব থেকে অবাক হয় কমিটির সম্পাদকসহ তিনজন বসা, ওই তিনজনের একজন শাহেদ আর পিছনে বোবার মতো দাঁড়িয়ে আছে আমাদের কিছু বড় ভাই। টকশোতে গিয়ে লম্বা লম্বা বক্তব্য দিচ্ছে আওয়ামী লীগের কর্ণধার সেজে এইসব স্যুট-টাই পরিধাণ করা শাহেদ গংরা। শুনেছি কিছু উপস্থাপককে হাত করলেই টকশোতে যাওয়া যায় ।
সমাজের চোখে ধুলা দিলেও আমাদের চোখ ফাঁকি দিতে পারবেন না শাহেদ গংরা, কারণ জীবনের সোনালী অধ্যায় পার করেছি শিক্ষা শান্তি প্রগতির শ্লোগান দিয়ে।
শাম্মী আপাকে ভালোভাবে চিনতাম না, দেখিওনি। সুতরাং উনার বিরোধিতা করার উদ্দেশ্যও না, অবশ্য না চেনারই কথা কারণ ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী হলে অবশ্যই চিনতাম। তবে শাম্মী আপার বাবা বরিশালের পুরোনো আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন সাহেব সেটা এক সাবেক ছাত্রনেতার কাছে শুনেছি ।
শাম্মী আপার কাছে সবিনয়ে জানতে চাচ্ছি কেন অন্যের দোষ নিজের কাঁধে নিচ্ছেন? ওই তিনজন প্রভাবশালীর নাম বলে ফেলুন যাদের চাপে আপনার কমিটিতে শাহেদদের রেখেছিলেন। আর একটা কথা শাম্মী আপার কাছে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাউকে কমিটিতে রাখলে তাকে এড়িয়ে চলতে পারতেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য প্রত্যেকটি অ্যাম্বাসির প্রোগ্রামে শাহেদকে দেখা যেতো ।
শাম্মী আপা আরেকটা কথা সমস্ত ছাত্রনেতাদের কথা বাদ দিলাম। এতেই যদি বিদেশি দূতাবাসের সাথে সাব কমিটির সম্পর্ক করে দলের সাথে সেতুবন্ধন করতে চান তাহলে মঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরীকে কেনো কাজে লাগালেন না ? মঈনু ভাইয়ের চাইতে কূটনৈতিক জ্ঞান এবং ইংরেজি আর কোন ব্যাটা বেশি জানে- সবিনয়ে জানতে চাই শাম্মী আপার কাছে ।
পল্টন গুলিস্তানে পপি আপা, মুন্নি আপা, অপর্না দি, শেফালী আপার মতো কষ্টের অভিজ্ঞতা যদি শাম্মী আপার থাকতো তাহলে হয়তো অনেক ভুলই হতো না । মাননীয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপনার বাবার কথা বিবেচনা করে আপনাকে নেতা বানিয়েছে আমরাও মেনে নিয়েছি কারণ আমাদের আবেগের শ্লোগানই হচ্ছে “শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত চূড়ান্ত”।
এই বিষয়টা নিয়েও লিখতাম না কিন্তু হাজার হাজার সাবেকদের বুকফাঁটা আর্তনাদ আমাকে দুমড়ে মুচড়ে দেয়। তবে এটাও জানি এই লিখাটার পড়ে আরও অনেকের অপছন্দের নামের তালিকায় যুক্ত হবো বাট আই ডোন্ট কেয়ার ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।