বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মংলা বন্দরের শিল্প এলাকার বিভিন্ন কলকারখানার মালামাল পরিবহণকারী গাড়ী পার্কিংয়ের জন্য বন্দরের নিজস্ব জমিতে নির্মিত পৌর ট্রাক টার্মিনালটি হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়ায় ভোগান্তী বেড়েছে । ফলে বিভিন্ন ফ্যাক্টরীগুলোর গাড়ী এখন রাখতে হচ্ছে রাস্তার দু’পাশে। এতে রাস্তা সংকুচিত হয়ে পড়ায় অন্যান্য যানবাহন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশংকাও বেড়েই চলেছে। রাস্তার উপর ও পাশে গাড়ী রাখায় রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে গত মাসের ৭ তারিখ পৌর ট্রাক টার্মিনালটি বন্ধ করে দেয়ায় শিল্প এলাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যদিও হাইওয়ের টোল আদায়কৃত টার্মিনাল বন্ধের নিদের্শনা থাকলেও ভুল বুঝাবুঝির কারণেই বন্দরের নিজস্ব এলাকায় নির্মিত টার্মিনালটিও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এদিকে টার্মিনাল বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। টার্মিনালের আয় দিয়ে পৌর কর্মচারীদের বেতনসহ পৌরবাসীর সেবায় ব্যয় করা হতো। অচিরেই টার্মিনালটি চালু না হলে পৌর কর্মচারীদের বেতন দেয়া বন্ধ হওয়াসহ নাগরিক সেবাও বিঘিœত হবে।
জানা গেছে, বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করে দিগরাজ এলাকায় প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করে মংলা পোর্ট পৌরসভা। ২০১৮ সালে ১লা মে টার্মিনালটির উদ্বোধন পর বন্দর ও শিল্প এলাকার সকল সকল ট্রাক গত তিন বছর ধরে সেখানেই পার্কিং করে আসছিল। এবং সেখান থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী বিভিন্ন ফ্যাক্টরীর মালামাল নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতো ট্রাকগুলো। ওই টার্মিনাল থেকে বছরে প্রায় ৪০ লাখ টাকা আয় হতো পৌর কর্তৃপক্ষের। আয়ের ওই টাকার একটি অংশ চুক্তি মোতাবেক বন্দর কর্তৃপক্ষ পেতো আর বাকী টাকা দিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ তাদের কর্মচারীদের বেতন পরিশোধসহ জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধায় ব্যয় করে আসছিল। মংলা বন্দরের শিল্প এলাকায় গড়ে ওঠা সিমেন্ট, এলপিজিসহ বিভিন্ন ধরণের ২০ ফ্যাক্টরী এবং বন্দরের ও ইপিজেরে পণ্য পরিবহণে নিয়োজিত প্রায় ৭শ ট্রাকের আসা যাওয়া ও অবস্থান বন্দরের শিল্প এলাকায়। শিল্প এলাকার বন্দরের নিজস্ব এ সড়কের যানজট কমাতে এবং রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পৌরসভা যৌথভাবে এ ট্রাক টার্মিনালটি নির্মাণ করে। অথচ গত ৮ জুন পুলিশ টার্মিনালটি বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে মংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও পরিবহণ মালিক সমিতির দাবীর প্রেক্ষিতে যাতে মহাসড়কের কোথাও কোন টোল আদায় না হয় সেজন্য টার্মিনালটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এটা যদি হাইওয়ের বাহিরে এবং বন্দরের নিজস্ব জায়গায় হয়ে থাকে তাহলে তারা কাগজপত্র দেখালে একটা সুরহা করা যেতে পারে।
মংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মো: জুলফিকার আলী বলেন, বিশ্ব ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে প্রজেক্টের মাধ্যমে টার্মিনালটি করা হয়েছে। এটি বন্ধ করে দেয়ায় কিস্তি দেয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এছাড়া এটি হাইওয়য়ের আওতাভুক্ত নয়। বন্দরের নিজস্ব জায়গায় এবং রাস্তাটি বন্দরের নিজস্ব। ভুল বুঝার কারণেই পৌর টার্মিনালটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে পৌরসভা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। কারণ টার্মিনালের আয় দিয়ে পৌরসভার কর্মচারীদের বেতন ও বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ করা হতো। দ্রæত এটি চালু না হলে কর্মচারীদের বেতন দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, টার্মিনাল ও বন্দরের শিল্প এলাকার এ রাস্তা বন্দরের নিজস্ব জায়গার উপর এটি হাইওয়ের আওতাভুক্ত নয়। মুলত ভুল বুঝাবুঝিতে পৌর ট্রাক টার্মিনালটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে চিঠি দিয়েছে আমরাও চেষ্টা করছি আশা করা যায় স্বল্প সময়ের মধ্যে এটির সুরহা হয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।