পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় কোরবানির ঈদ উপলক্ষে দেশের বন্যা ও অন্যান্য দুর্যোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়াও দুস্থ, অতিদরিদ্র ব্যক্তি ও পরিবারকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেবে সরকার। তবে এবার সরকারের বেঁধে দেয়া ১২ শর্তের মধ্যে চারটি পূরণ করে এমন ব্যক্তি বা পরিবারকে দুস্থ হিসেবে গণ্য করে সহায়তা দিতে হবে। দুই মাস আগে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার ১০ কেজি করে চাল সারাদেশে বরাদ্দ দিয়েছিলো কিন্তু স্থানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের দ্ব›েদ্বর কারণে এখনো অনেক জেলায় বিতরণ করা সম্ভব হয়নি বলের বিভিন্ন জেল প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসিন ইনকিলাবকে বলেন, গত ঈদুল ফিতর সময় ১০ কেজি করে চাল সরকার বরাদ্দ দিয়েছিলো কিন্তু স্থানীয় এমপি ও উপজেলার চেয়ারম্যানদের দ্ব›েদ্বর কারণে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল পরে সমধান হয়েছে।
গতকাল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ কর্মসূচি-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব (ত্রাণ-১) মোহাম্মদ শাহজাহান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ বরাদ্দ ডিসিদের দেয়া হয। এতে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৬৪ জেলার ৪৯২ উপজেলা ও ৩২৮ পৌরসভার এবং ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ ক্যাটাগরির অতি দরিদ্র ও অসহায় দুস্থ পরিবারের জন্য পরিবার প্রতি ১০ কেজি হারে বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তার লক্ষ্যে উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৩টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে ৮৭ হাজার ৭৯২ দশমিক ০৩০ মেট্রিক টন এবং পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৬টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে ১২ হাজার ২৭৬ দশমিক ৬৬০ মেট্রিক টন সর্বমোট এক লাখ ছয় হাজার ৮৬৯টি কার্ডের বিপরীতে এক লাখ ৬৮ দশমিক ৬৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়। এসব চাল বরাদ্দ আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে ডিসিদের উত্তোলন করতে হবে। বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসকরা ভিজিএফ বরাদ্দের বিষয়ে নিজ নিজ এলাকায় সংসদ সদস্যদের অবহিত করবেন।
ভিজিএফ উপকারভোগী বাছাইয়ে ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড ভিত্তিক বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ড সংখ্যা পুনঃবিভাজন করে তালিকা তৈরি করতে হবে। দুস্থ বা অতিদরিদ্র ব্যক্তি বা পরিবারকে এই খাদ্য সহায়তা দিতে হবে জানিয়ে বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, সা¤প্রতিক বন্যাক্রান্ত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ ও অতিদরিদ্ররা অগ্রাধিকার পাবেন।
১২ শর্ত গুলো হচ্ছে, যে পরিবারের মালিকানায় কোনো জমি নেই বা ভিটাবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই, যে পরিবার দিনমজুরের আয়ের উপর নির্ভরশীল, যে পরিবার মহিলা শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির উপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে উপার্জনক্ষম পূর্ণ বয়স্ক কোনো পুরুষ সদস্য নেই, যে পরিবারে স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়, যে পরিবারে উপার্জনশীল কোনো ব্যক্তি নেই, যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যক্তা, বিচ্ছিন্ন বা তালাক প্রাপ্তা মহিলা রয়েছে,যে পরিবারের প্রধান অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, যে পরিবারের প্রধান অস্বচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধী, যে পরিবার কোনো ক্ষুদ্রঋণ প্রাপ্ত হয়নি, যে পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে চরম খাদ্য বা অর্থ সঙ্কটে পড়েছে। যে পরিবারের সদস্যরা বছরের অধিকাংশ সময় দু’বেলা খাবার পায় না। সরকার বলছে, ইউনিয়ন বা পৌরসভা ভিজিএফ কমিটি কর্তৃক প্রকাশ্য সভায় বর্ণিত তালিকা প্রণীত ও প্রত্যায়িত হতে হবে। জেলা বা উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে বিতরণ কেন্দ্র পর্যন্ত চাল পৌঁছানোর পরিবহন ও আনুষাঙ্গিক খরচ সরকারি খাত থেকে বহন করতে হবে। ভিজিএফ উপকারভোগীর তালিকা এমনভাবে করতে হবে যাতে কোনো অবস্থাতেই একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভিজিএফ বরাদ্দ না পায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।