Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত, ভারতকে চমকে এখনও মসনদে অলি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২০, ৭:৪১ পিএম

বিতর্কিত ভূখণ্ড নেপালের মানচিত্রে অর্ন্তভূক্ত করার পর থেকেই ভারতের রোষানলে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। জাতীয়তার প্রশ্নে অলিকে সমর্থন দিতে বাধ্য হলেও এখন তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন তারই দলের ভারতভক্ত নেতারা। তবে, ভারতকে চমকে দিয়ে এখনো ক্ষমতা ধরে রেখেছেন নেপালি এই নেতা। কারণ, তার পিছনে রয়েছে সাধারণ মানুষ ও দলের তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের সমর্থণ।

বহুদিন ধরেই নেপালের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব স্পষ্ট। দেশটিতে ভারত বংশোদ্ভূতদের সতন্ত্র একটি দলও রয়েছে। যার ফলে, এতদিন ভারতের দাদাগিরি নিরবে মেনে নিয়েছে নেপাল। তবে জাতীয়তাবাদি নেতা অলির নেতৃত্বে পরিস্থিতি এখন পাল্টে গিয়েছে। বিতর্কিত এলাকা নিয়ে অলির সাফল্যের পেছনে তিনটি কারণ আছে বলে মনে করা হয়। প্রথমত, লাদাখে সংঘাতের জেরে চীনকে মোকাবেলায় ভারতের অক্ষমতা প্রকাশ হয়ে যাওয়ায়, নেপালের ভারত ঘেষা নেতারা হতাশ হয়ে পড়েন। অনেকেই চীনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। দ্বিতীয়ত, ভারতের প্রভাব মেনে নেয়ায় কিছু নেতা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হলেও সামগ্রিকভাবে নেপালের ক্ষতিই হয়েছে বেশি। তৃতীয়ত, ২০১৮ সালে একীভূত হওয়ার পড়ে নেপালে এখন সবচেয়ে শক্তিশালী দল ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি। চীনেও কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বেড়েছে। ফলে, ভারতকে মোকাবেলায় চীনকে পাশে পাবেন বলে মনে করেন অলি।

তবে, রাজনৈতিক সংকট থেকে এখনও পুরোপুরি মুক্ত নন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। তাকে উৎখাতে ভারত যে ষড়যন্ত্র করছে তা তিনিই নিজেই বহুবার বলেছেন। তার কথা সত্যি প্রমাণিত করে তার দলে ভারতের বন্ধু বলে পরিচিত পুষ্প কামাল দাহাল, মাধব কুমার নেপাল এবং ঝালা নাথ খানালের মতো নেতারা এখন তার পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন। অলি পদত্যাগে রাজি না হওয়ায় ও দল ভেঙ্গে দিতে পারেন বলে হুমকি দেয়ায় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক তৃতীয় দফায় জুলাই মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় অলি হঠাৎ করেই তার সব মন্ত্রী আর প্রতিমন্ত্রীদের বালুওয়াটারে ডেকে পাঠান এবং প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাতের জন্য শীতল নিওয়াসে যান। এ বিষয়ে এক মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যদিও স্পষ্ট করেননি যে, কোথা থেকে তিনি তথ্য পাচ্ছেন, তবে তিনি বলেছেন যে, তাকে সরিয়ে দেয়ার এবং প্রেসিডেন্টকে অভিশংসিত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’ আরেক মন্ত্রী বলেন, ‘তাকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে এবং তার কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে যে কিছু দলীয় নেতারাও প্রেসিডেন্টকে অভিশংসিত করার ষড়যন্ত্র করছে।’ প্রসঙ্গত, শাসকদলের অন্দরে চলা কলহের জেরেই সদ্য অনির্দিষ্ট কালের জন্য মুলতুবি হয়ে গেছে দেশটির বাজেট অধিবেশন। রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি মন্ত্রিসভার প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট, দ্য প্রিন্ট।



 

Show all comments
  • omor faruk ৬ জুলাই, ২০২০, ৯:৫৮ পিএম says : 1
    খেদাও ভারতীয়দের বাঁচাও নেপাল
    Total Reply(0) Reply
  • Gopal Samadder ৭ জুলাই, ২০২০, ১০:৪৩ পিএম says : 0
    সাম্রাজ্যবাদী চিনের নজরে পড়েছে নেপাল। তিব্বতকে যেমন নিয়ে নিয়েছে, তেমন ভূটান ও নেপালকেও সাম্রাজ্যবাদী চিন একদিন গিলে খাবে। নেপাল খাল কেটে কুমির আনছে। এরপর একদিন এই নেতাদের কারাগারে নিক্ষেপ করবে, ঠিক তাইওয়ানের মত এবং মত প্রকাশের কোন অবকাশ পাবেনা কেউ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ