রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বানারীপাড়া (বরিশাল) উপজেলা সংবাদদাতা
বানারীপাড়ায় বহুল আলোচিত ফয়জুল হক মামলার নিষ্পত্তির ১০ বছর পর আসামিরা ফয়জুল হত্যার দায় আদালতে স্বীকার করেছে। এ কারণে সাক্ষী প্রমাণের অভাবে ফয়জুল হক হত্যা মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার ১০ বছর পর পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে। সম্প্রতি বহুল আলোচিত মামলাটির আসামিরা ফয়জুল হক হত্যায় জড়িত ছিল এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। গত ২০ জুলাই ফার্মেসী ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন এবং শাজাহানকে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাদের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ সময় তারা ১৬৪ ধারায় আদালতের বিচারক মোঃ শিহাবুল ইসলাম এর কাছে জবানবন্দীতে ওই হত্যার দায় স্বীকার করে। এ জন্য ১০ বছর পর এ আলোচিত মামলাটির পুনরায় বিচারকাজ শুরু হচ্ছে আদালতে। এর পূর্বে মামলাটির তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই ফরিদ আহম্মেদ ৪ মাস তদন্ত করেন। ওই সময় এলাকার সাবেক এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপ ছিল। তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ওই হত্যা মামলায় কোন আসামিকে শনাক্ত করতে না পেরে ২০০৭ সালের ২ মে আদালতে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর মামলাটি সিআইডি তদন্ত করে একইভাবে সাক্ষী-প্রমাণের অভাবে মামলাটি নিষ্পত্তি হয়। গ্রেফতারকৃতরা স্বীকারোক্তমূলক জবানবন্দিতে জানায়, আসামি শাজাহানের শ্যালিকার সাথে ফয়জুল হকের বিয়ের কথা চলছিল। এ সময় কথা ছিল বিয়ের পর ফয়জুলকে বিদেশে পাঠাবে এবং সে অনুযায়ী ফয়জুল পাসপোর্ট করেছিল। পাশাপাশি ফয়জুল তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। পরে শাজাহানের শ্যালিকাকে বিয়ে না করে অন্যত্র বিয়ে করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়। তখন ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় খাবারের সময় ফয়জুলের সেল ফোনে কল আসে। ফয়জুল তার মায়ের কাছে বলে একই এলাকার সৈয়দ ডাক্তারের বাড়ী ঘুমাতে যাবে। পরদিন সকালে ফয়জুল বাড়ী না ফিরলে পরিবারের লোকজন সৈয়দ ডাক্তারের বাড়ী খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ওই বাড়ীতে ফয়জুল ঘুমতে যায়নি। পরে খোঁজ করে পার্শ্ববর্তী কালাম মোল্লাদের বাড়ীর পুকুর পাড়ে ফয়জুলের লাশ পরে আছে। খবর পেয়ে সবাই ছুটে গিয়ে ফয়জুলের জবাই করা লাশ দেখতে পায়। এ ঘটনায় বিয়ের জের ধরে ফয়জুলের ভাই আজাহার ফকির অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করে। পুলিশ তখন শাজাহান মোল্লার স্ত্রী মেহরুন বেগমকে আটক করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।