পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাত দিনের মধ্যে ভুতুড়ে বিল সমন্বয় করতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশের চারটি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার প্রায় ৩০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ গঠিত টাস্কফোর্স। গত ২৫ জুন বিদ্যুৎ বিভাগ একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠন করে। সাত দিনের মধ্যে ভুতুড়ে বিলের সমাধান না করতে পারলে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ জন্য শাস্তি দেওয়ার কথা বলে এই টাস্কফোর্স।
ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ডিপিডিসি) ভুতুড়ে বিলের তদন্তে এক নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চার কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৩৬টি এনওসি (স্থানীয় কার্যালয়) এর প্রত্যেকটির নির্বাহী প্রকৌশলীকে ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া দুই চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি’র (ডেসকো) দুই মিটার রিডারকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এবং সাত কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়েছে।
আজ বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে জানা গেছে। করোনার কারণে গত দুই মাস ধরে অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ আসছিল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে। এ কারণে গত ২৫ জুন দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিদ্যুৎ বিভাগ। সাত দিন সময় দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। গত ২ জুলাই সময় শেষ হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ডিপিডিসির বিরুদ্ধে। ডিপিডিসি এই ঘটনা তদন্তে নির্বাহী পরিচালককে (আইসিটি) প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে। গত শুক্রবার রাতে এই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিপিডিসির এক কর্মকর্তা ইনকিলাবকে জানান, ওপরের সিদ্ধান্ত ছাড়াও আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। ডিপিডিসির সিএসএস (কাস্টমার সাপোর্ট সার্ভিস) প্রতিষ্ঠান মিটার রিডিং কালেক্টরের কাজ করে। এর মধ্যে সাতটি জোনে নিয়োগ দেয়া কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে চুক্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর ১৩ মিটার রিডার, একজন সুপারভাইজারসহ মোট ১৪ জনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। সাতটি এনওসি এর মধ্যে রয়েছেন- নারায়ণগঞ্জ (পূর্ব), নারায়ণগঞ্জ (পশ্চিম), রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর, কাকরাইল, বনশ্রী ও জুরাইন।
ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন) এটিএম হারুন অর রশিদ ইনকিলাবকে বলেন, এ সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত কার্যকর ছাড়াও কিছু জোনে বদলির আদেশ দিয়েছি। চিফ ইঞ্জিনিয়ার (সেন্ট্রাল) এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ার (নর্থ) এর বদলি। সাময়িক বরখাস্তদের মধ্যে আদাবর জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী, একজন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, একজন সহকারী প্রকৌশলী এবং একজন ডাটা এন্ট্রি কো-অর্ডিনেটর।
ডেসকো ভুতুড়ে বিলের অভিযোগের ভিত্তিতে চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সে কমিটি ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। এর মধ্যে আটজনই মিটার রিডার আর একজন সুপারভাইজার। তাদের দুইজনের নিয়োগ বাতিল এবং সাতজনকে শোকজ করা হয়েছে।
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাউসার আমীর আলী ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের অভিযোগ কম ছিল। আর যেসব অভিযোগ এসেছিল দ্রুত সমাধান করেছি। তদন্ত কমিটি খুব বেশি দোষী পায়নি। তবে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পরে দেয়া হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) তদন্ত কমিটির সুপারিশে বেশ কিছু বদলি করা হয়েছে। ওজোপাডিকো, আরইবি ও পিডিবির তদন্ত কমিটি এখনও কাজ করছে। আজ সবার বিষয়ে সব কিছু স্পষ্ট করে বলা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।