বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বোনকে হত্যার দায়ে ভাই নূরুল আমিনকে (৩৬) মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দেয়ার আদেশ দেন। গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহিতুল হক এনাম চৌধুরী এ রায় দিয়েছেন। দ-িত আসামি নূরুল আমিন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার রামপুর ওমখালী গ্রামের মৃত কলিমদাদ ফকিরের পুত্র। নূরুল আমিন বর্তমানে পলাতক আছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি মো. আইয়ুব খান বলেন, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় আদালত তাকে মৃত্যুদ-ে দ-িত করার আদেশ দিয়েছেন। ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ওমখালীতে নিজ বাড়িতে বোন জাহানারা বেগমকে (৫০) কুপিয়ে খুন করে আপন ছোট ভাই নূরুল আমিন।
জাহানারা ও নূরুল আমিনের দুই শিশু সন্তানের ঝগড়ার জের ধরে এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। খুনের ঘটনায় পুলিশ নূরুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। ওই দিনই জাহানারার মেয়ে কোহিনূর বেগম বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তার হওয়া নূরুল আমিন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২০০৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর চকরিয়া থানা পুলিশ নূরুল আমিনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১০ সালের ২১ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ নির্মল কান্তি চৌধুরী নূরুল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।
পিপি আইয়ুব খান জানান, ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর আসামি নূরুল আমিন তার মা মারা গেছে বলে আদালতকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিন নেন। পরবর্তীতে নূরুল আমিন পলাতক হয়ে যান। গত বছরের ১৩ আগস্ট যে মাকে মৃত সাজিয়ে নূরুল আমিন জামিন নেন সেই মা রোকেয়া বেগম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এসে ছেলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।