Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উত্তেজনার মধ্যেই দক্ষিণ চীন সাগরে দুটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০২০, ৩:৫৫ পিএম

চীন সাগরে দীর্ঘদিন ধরেই সামরিক মহড়া পরিচালনার পরিকল্পনা করে আসছিল মার্কিন নৌবাহিনী। তবে সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যেই তারা ঘোষণা দিয়েছে, শিগগিরই দক্ষিণ চীন সাগরে দুইটি বিমানবাহী জাহাজ ও বেশ কয়েকটি যুদ্ধ জাহাজ পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নৌবাহিনীকে উদ্ধৃত করে সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে জাহাজগুলোকে ওই এলাকায় পাঠানো হবে। শিগগিরই ওই মহড়া শুরু হতে যাচ্ছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় গত ১ জুলাই শুরু হওয়া চীনের সামরিক মহড়া আগামী ৫ জুলাই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে।
ফিলিপাইন সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরে ইউএসএ নিমিৎজ ও ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ যৌথভাবে মহড়া চালাবে। সেভেনথ ফ্লিটের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জোয়ে জেইলি বলেন, ‘ফিলিপাইন সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরে দুইটি ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের মহড়ার মধ্য দিয়ে আমাদের বাহিনীগুলো অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কিংবা বিশ্বের ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে এ জাহাজগুলো পাঠানো হচ্ছে না। বরং ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, ও সমৃদ্ধি রক্ষায় মার্কিন নৌবাহিনী যেসব অত্যাধুনিক সক্ষমতা ব্যবহার করে এটি তারই একটি।’
মৎস্য সম্পদসহ খনিজ আহরণের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে বছরে প্রায় ৫ লাখ কোটি ডলারের পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে। পুরো সমুদ্রপথকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে চীন। তবে আরও কয়েকটি দেশও ওই অঞ্চলের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে। দেশগুলো হচ্ছে মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম।
যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ওই অঞ্চলের দাবি না করলেও আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথ হিসেবে ওই অঞ্চলে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি ধরে রাখতে চায় তারা। এর অংশ হিসেবেই এ সাগরে চীনের চলমান মহড়ায় ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের আপত্তির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ওয়াশিংটন। সূত্র: সিএনএন



 

Show all comments
  • End China products from Bangladesh. ৬ জুলাই, ২০২০, ৭:৫১ পিএম says : 0
    China never want to raising Bangladesh. Could you please end all of China products from Bangladesh?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ