Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুয়েতের কারাগারে আটক লক্ষীপুরের সেই এমপির ২৫ কোটি টাকা মূল্যের জমি সিলেটেও

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০২০, ১:৫২ পিএম

সিলেটে ২৫কোটি টাকার মুল্যের জমি রয়েছে মানব পাচার ও অর্থ পাচার মামলায় মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েত কারাগারে আটক লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি মো. শহীদ ইসলাম পাপুলের। সেই জমির মালিকানায় রয়েছে তাঁর স্ত্রী কুমিল্লার সংরক্ষিত আসনের এমপি সেলিনা ইসলামেরও। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ জমির মালিকানা থাকায় ক্ষমতার অনৈতিক প্রভাবে আটকে রেখেছেন রাস্তা সম্প্রসারণ ও ড্রেনেজ উন্নয়নের কাজ। নগরীর ব্যস্ততম নাইওরপুল পয়েন্টে মহানগর পুলিশ সদর দফতরের বিপরীতেই বিশাল সাইনবোর্ডে লেখা ‘ক্রয় সূত্রে এই জমির মালিক মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম, সংসদ সদস্য, লক্ষ্মীপুর (রায়পুর)-২ ও সেলিনা ইসলাম, সংসদ সদস্য, মহিলা আসন কুমিল্লা-১’। নগরীর সচেতন ও পদস্থ অনেকে এই জায়গার মালিকদের ক্ষমতাবার দাপুটে চরিত্র সর্ম্পকে অবগত। সিলেটেও রয়েছে তাদের নিজস্ব একটি নেটওয়ার্ক ।

২০১২ সালে নাইওরপুল মোড়ে সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন সহ ৪৯ শতক জায়গা ক্রয় করেন শহীদ ইসলাম পাপুল দম্পতি। নগরীর খরাদিপাড়ার বাসিন্দা শিল্পপতি আতাউল্লাহ সাকেরের কাছ থেকে মূল্যবান এই জায়গা ক্রয় করেন তারা। জায়গা কেনার পরই বন্ধ করে দেন সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন। এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বাউন্ডারি ঘেরা এমপি দম্পতির এ জমি। প্রায় আট বছর অতিবাহিত হলেও সিএনজি স্টেশন চালু বা সেখানে কোনো স্থাপনা তৈরি করেননি তারা। সরকার নির্ধারিত মূল্যতালিকা অনুযায়ী বর্তমানে ওই এলাকায় প্রতি শতক জায়গার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। সে হিসাবে স্থাপনা বাদে পাপুল দম্পতির এ জমির মূল্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা। তবে নগরীর রাস্তা সম্প্রসারণ কাজের অংশ হিসেবে মিরাবাজার-জিন্দাবাজার ও কুমারপাড়া-সোবহানীঘাট সড়কের কাজ শুরু করে সিটি করপোরেশন। নাইওরপুল মোড়ে আসার পরই অনুমোদিত উন্নয়ন কাজে বাধা হয়ে দাড়ায় এমপি দম্পতির ক্ষমতার প্রভাব। রাস্তার উভয় পাশের বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি ছেড়ে দিলেও তাতে জোর আপত্তি জানান তারা। রাস্তা সম্প্রসারণে জায়গা না নিতে সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখার কর্মকর্তাদের নানাভাবে চাপে ফেলেন এমপিদ্বয়। এমপি দম্পতির দাপটে নাইওরপুল মোড়ে এসে থমকে দাড়ায় রাস্তা সম্প্রসারণ কাজ। সিটি করপোরেশন বাধ্য হয়ে এমপি দম্পতির জায়গা সরকারিভাবে অধিগ্রহণের জন্য আবেদন জানা মন্ত্রণালয়ে। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, ‘রাস্তা সম্প্রসারণ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার নির্ধারিত সংস্কার কাজ মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে ‘পাপুল ও সেলিনা এমপির বাধায়। বাধ্য হয়ে এ জমি অধিগ্রহণের জন্য আবেদন করা হয় মন্ত্রণালয়ে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাপুল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ