প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
দর্শকপ্রিয় অভিনেতা মানস বন্দ্যোপাধ্যায় তার অভিনয় জীবনের চার দশকের বেশি সময় অতিক্রম করছেন। এই চার দশকে তিনি অনেক দর্শকপ্রিয় টিভি নাটক, মঞ্চ নাটক, সিনেমা এবং বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। মানস বন্দ্যোপাধ্যায় ফরিদপুরের ‘সুনিয়ম নাট্যচক্র’র সাথে সম্পৃক্ত থেকে অভিনয় জীবন শুরু করেন। প্রায় চার/পাঁচ বছর এই দলের হয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৭৮ সালে বিটিভিতে খ. ম, হারুনের প্রযোজনায় ‘সানাই ঘর’এ অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় জীবন শুরু হয়। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে মানস বন্দ্যোপাধ্যায় অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। মোহসীন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন তিনি। মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক নাম সন্টু’। ফরিদপুরের বন্ধুরা তাকে এ নামে এখনো ডাকে। নাটকে তাকে দেখে অনেকে ভেবেছিলেন তিনি কুমার বিশ^জিৎ। পরবর্তীতে আল মনসুরের প্রযোজনায় ‘লাইলী মজনু’ নাটকে অভিনয় করে সাড়া ফেলেছিলেন তিনি। এতে মজনু চরিত্রে মানস এবং লাইলী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত দিতি। এই নাটকের জনপ্রিয়তার রেশ ধরেই পরিচালক ইবনে মিজান মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নির্মাণ করেছিলেন ‘পুণর্মিলন’ সিনেমাটি। এতে তার বিপরীতে ছিলেন নূতন। আশি দশকে বিটিভিতে প্রচারিত জিয়া আনসারীর প্রযোজনায় ধারাবাহিক ‘প্রতিশ্রুতি’তে অভিনয় করে তিনি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পান। এরপর বরকত উল্যাহ’র প্রযোজনায় ‘ঢাকায় থাকি’, শেখ রিয়াজ উদ্দিন বাদশা’র প্রযোজনায় ‘টং ঘর’সহ আরো বেশকিছু নাটকে অভিনয় করেন। নারায়ণ ঘোষ মিতা’র ‘সাহেব’, খান আতাউর রহমানের ‘হিসাব নিকাষ’ দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘ভাইয়ের আদর’, মতিন রহমানের ‘মন মানেনা’ সিনেমা’সহ আরো বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করেন। অভিনয় জীবনের শুরুতে ‘আনোয়ার শার্টিং স্যুটিং’ ও ‘রবিন ব্লু’র বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেও বেশ আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি দুটি নতুন বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। একটি প্রাণ চাটনী’র বিজ্ঞাপন। এটি নির্মাণ করেছেন পলাশ। অন্যটি মোবাইল ফোন কোম্পানি রবি’র। এটি নির্মাণ করেছেন তানভীর আহসান। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময়ে অভিনয় জীবনের পথচলা প্রসঙ্গে মানস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনের পথচলায় দর্শকের ভালোবাসাই আমার পরম পাওয়া। দর্শক আমার অভিনয় দেখে তাদের ভালোবেসেছে। এখনো দর্শকের ভালোবাসাতেই সিক্ত হচ্ছি। অভিনয়ের বাইরে জীবনে আর কিছুই করিনি, করার চেষ্টাও করিনি। কিন্তু এই দেশে অভিনয়ের সাথে সম্পৃক্ত শিল্পীদের যথাযথভাবে মূল্যায়ণ করা হয়না। মৃত্যুর পর শিল্পীদের মরনোত্তর সম্মাননা দেয়া হয়, অথচ বেঁচে থাকতে শিল্পী তার প্রাপ্য সম্মান পায়না। বিষয়টি আমাকে পীড়া দেয়। তারপরও আমি অভিনেতা, এটাই আমার গর্ব, এটাই আমার অহংকার।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।