পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অক্সফোর্ডের ইস্টার্ন বাইপাস রোডের একপাশে অবস্থিত জেনার ইনস্টিটিউট। ছয় মাস আগেও সেখানে খুব বেশি মানুষের আনাগোনা ছিলোনা। তখন এটি বেশিরভাগ সময় দরিদ্র দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়া রোগ নিরাময়ের জন্য দরকারী কিন্তু অর্থায়ন খুবই কম, এমন গবেষণা নিয়েই ব্যস্ত থাকত। কিন্তু এখন মহামারি কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে বিশ্বের প্রথম ভ্যাকসিন তৈরিতে তারাই সবচেয়ে এগিয়ে গিয়েছে।
জেনার ইনস্টিটিউট এখন সারাবিশ্বের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বজুড়ে সমস্ত সরকার এতে অর্থ ঢালছে। আমেরিকান থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক মিল্কেন ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিচালিত সমীক্ষা অনুসারে, অক্সফোর্ডসহ বিশ্বে মোট ১৮০ টি প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছে। এর মধ্যে ৪-৫ টি প্রতিষ্ঠান মানবদেহে তাদের ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু করেছে। তাকে সবার থেকে এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড। তারা ইতিমধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপও প্রায় শেষ করে ফেলেছ। মনে করা হচ্ছে সবচেয়ে দ্রæত তাদের ভ্যাকসিনটিই ‘কোভ্যাক্স’ হিসেবে বিশ্বে উপলব্ধ হবে।
বুধবার অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর সারাহ গিলবার্ট জানিয়েছেন করোনায় আক্রান্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এমন রোগীর জন্যও এই ভ্যাকসিন একদম নিরাপদ। তিনি বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন বানানোর সময় বেশ কিছু অ্যাডেনোভাইরাস জিনকে বাদ দিয়েছি। আসলে অ্যাডেনোভাইরাস সারা দেহে ছড়িয়ে যেতে পারে না। সেই কারণে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাঁদের দেহে এই অ্যাডিনোবর্জিত ভ্যাকসিন খুব নিরাপদেই কাজ করে।’
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন প্রস্তুত এবং কার্যকারিতায় এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন এবং মডার্না। হু-এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারীরা যে যেই অবস্থানে রয়েছে সেই সবদিক বিবেচনা করেই বলতে পারি যে এই দুই ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত কার্যকারীতায় উন্নতমানের।’
এই ভ্যাকসিনের গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল করোনা আক্রান্তের দেহে এই ভ্যাকসিন একবার প্রয়োগ করলে পরবর্তী এক বছর এর কার্যকারিতা থাকবে শরীরে। মানবদেহে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরিতেও সাহায্য করবে এই ভ্যাকসিন, এমনটাই দাবি করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সিইও। সূত্র : দ্য ইকনোমিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।