পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজনৈতিক দলের সব কমিটিতে নারীর ৩৩ শতাংশ অংশগ্রহণের বাধ্যবাধকতা তুলে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বলছে, এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচন কমিশনের যেমন নতজানু মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ; তেমনি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ তথা নারীর ক্ষমতায়নের পরিপন্থী। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি আত্মঘাতী।
গতকাল বৃহস্পতিবার ‘রাজনৈতিক দলে নারীর অংশগ্রহণ : নির্বাচন কমিশনের অবস্থান ও সুজন এর বক্তব্য’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই বক্তব্য তুলে ধরে সুজন। অনলাইনে আয়োজিত সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, ইসি এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের দুর্বল করছে- খেলো করছে।
সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে সুপ্রিম কোটের সিনিয়র আইনজীবী সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, জাতীয় জীবনে সবচেয়ে বড় দুর্যোগ হচ্ছে বর্তমান ইসি। জাতির অগ্রগতির পথে অনেক বড় অন্তরায় হয়ে আবির্ভুত হয়েছে সংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি। এটা এখন আত্মঘাতি প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে। অযোগ্যতা, অদক্ষতা, মেরুদন্ডহীনহীন লোকজনকে বসানোই এমন হচ্ছে।
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসাবে ইসি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, কোনো দলের কাছে নয়। এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য কি জনস্বার্থ না রাজনৈতিক দলের স্বার্থ এটাই আমার কাছে বড় প্রশ্ন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দীর্ঘদিন ধরেই জনস্বার্থবিরোধী কাজ করে আসছে, নানা অপকর্ম করে আসছে। এই আইনটা অপকর্মের ধারাবাহিকতার অংশ। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এই উদ্যোগ চরম আপত্তিকর, অগণতান্ত্রিক, অগ্রহণযোগ্য এবং সংবিধানবিরোধী।
সুজন কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজন-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং প্রস্তাবিত আইনের খসড়ার বর্ণনায় পার্থক্য হলো, ‘এই লক্ষ্যমাত্রা পর্যায়ক্রমে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে অর্জন করিতে হইবে’-এর স্থলে ‘কমিশনে প্রদেয় বার্ষিক প্রতিবেদনে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিবরণী অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।’ এই পার্থক্যের অর্থ দাঁড়াচ্ছে, যে লক্ষ্যমাত্রা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অর্জন করার বাধ্যবাধকতা ছিল, তা না করলেও চলবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।