Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতকে পাল্টা জবাব দিতে লাদাখে এস-৪০০, এস-৩০০ জড়ো করেছে বেইজিং

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০২০, ৪:৪৯ পিএম

সম্প্রতি গালওয়ান উপত্যকায় চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন সেনা নিহত হওয়ার পর সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। দু’দেশই এখন পর্যন্ত গালওয়ানে সেনা মোতায়েন রেখেছে। এদিকে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত এবং চীনের শীর্ষস্থানীয় সামরিক কমান্ডাররা। কিন্তু এর আগেও একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠক কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। কারণ চীনের সেনারা এখনও সীমান্তে রয়েছে। ভারতও পাল্টা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
চীনকে উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এরই মধ্যে লাদাখে পৌঁছে গেছে প্রায় ৫০ হাজার অতিরিক্ত সেনা। টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাংক, বসানো হয়েছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, এয়ার সার্ভেল্যান্স সিস্টেম।
তবে বসে নেই চীন, পিছু হটেইনি উল্টো ভারতকে পাল্টা জবাব দিতে লাদাখে বিমানবিধ্বংসী শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০, এস-৩০০ এনে জড়ো করেছে বেইজিং। এছাড়া চীন গালওয়ান নদী উপত্যকা, হট স্ক্রিং এবং প্যাংগং সো এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর একটু একটু করে সমরসজ্জা বাড়িয়ে চলেছে।
এছাড়া চীন গালওয়ান নদী উপত্যকা, হট স্ক্রিং এবং প্যাঙ্গং সো এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সমরসজ্জা বাড়িয়ে যাচ্ছে। উপগ্রহ চিত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৪২৩ মিটার এলাকা পর্যন্ত ঢুকে এসেছে চীনা ফৌজ। প্যাঙ্গং রেঞ্জের ফিঙ্গার পয়েন্ট ৪ ও ফিঙ্গার পয়েন্ট ৫ এলাকার মাঝামাঝি চীনের মান্দারিন ভাষায় লেখা বিশেষ প্রতীক ও ম্যাপের চিত্র ধরা পড়েছে স্যাটেলাইট ছবিতে।
গত কয়েক মাস ধরে চীনের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে ভারতের। ৬ জুন উভয়পক্ষের প্রথম দফা বৈঠকে কোনো ফল আসেনি। ফলে ১৫ জুন চীন ও ভারতের সেনা সদস্যদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। এতে ২০ ভারতীয় জওয়ান নিহত হন। কয়েকজন চীনা সেনাও নিহত হন। এরপর থেকেই গালওয়ানে শক্তি বাড়াচ্ছে উভয় দেশ। সীমান্তে আমেরিকা থেকে কেনা আল্ট্রা-লাইট হাউইৎজার কামান মোতায়েন করেছে ভারত। রাশিয়া থেকে কেনা অত্যাধুনিক টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক, কুইক রি-অ্যাকশন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল মোতায়েনের কাজ চলছে। চীনা গতিবিধি নজরে রাখতে টহল দিচ্ছে ভারতের লড়াকু বিমান সুখোই-৩০, মিগ-২৯ ফাইটার জেট, মিরাজ-২০০০ ফাইটার এয়ারক্রাফট।



 

Show all comments
  • Jack Ali ১ জুলাই, ২০২০, ৬:৪৪ পিএম says : 0
    OÁllah let them fight them each other and wipe our their barbarian Army then we will kill all the Mayanmar Army their Barbairan lady leader. after we will rehabilitate Rohynga muslim in their mother land.
    Total Reply(0) Reply
  • Tushar ২ জুলাই, ২০২০, ৯:৪০ পিএম says : 0
    Rohingya people will not go back to Myanmar,,, they are just barbaric people who have no common sense...
    Total Reply(0) Reply
  • syed kabir m j ৩ জুলাই, ২০২০, ১১:৩৮ এএম says : 0
    রোহিঙ্গাসমস্যা সমাধানে কেউ কেউ ভারত চীনের যুদ্ধচাচ্ছেন!মুসলিমদের কেন বার্মিজরা ঘৃনা করে?সেই কারন অনুসন্ধান করুন।আপনি কেন আপনার গ্রামের প্রতিবেশিকে দেখতে পারেন না।কারন(যদি সে)অভদ্র,সুযোগ পেলে অনিষ্টসাধন করে,মিথ্যুক,গীবতকারী, ওজনের কম দেয়,ঝগড়াটে এবং হিংসুক।এ অবস্হা যদি হয়,তবে মুসলিম হিসেবে আমাদের চরিত্র পাল্টানো উচি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ