মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষ নিয়ে উত্তেজনার কারণে টিকটকসহ চীনের ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। পাল্টা পদক্ষেপ হিসাবে তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় সংবাদপত্র ও ওয়েবসাইটগুলোর অ্যাক্সেস বন্ধ করে দিয়েছে চীন। ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) সার্ভার ছাড়া ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কোনও ওয়েবসাইট চীনে বসে দেখা যাবে না।
জানা গেছে, মঙ্গলবার থেকেই ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলোর অ্যাক্সেস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে, ভারত চীনা অ্যাপ বন্ধ করলেও চীনা সাইটগুলির ক্ষেত্রে কোনওরকম বিধিনিষেধ এখনও আরোপ করা হয়নি। তবে, ওয়েবসাইটগুলি বন্ধ করা হলেও চীনে ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলো এখনও পর্যন্ত আইপি টিভির মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, কমিউনিস্ট রাষ্ট্রে ডেস্কটপ ও আইফোনে গত দু-দিন ধরে এক্সপ্রেস ভিপিএন কাজ করছে না। লোকজনকে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে হচ্ছে। এই ভিপিএনগুলো মাস্ক ইন্টারনেট প্রটোকল হিসেবে কাজ করে। ফলে, ব্যবহারকারীর অনলাইন কার্যকলাপ শনাক্ত করা যায় না। তবে, চীনের হাতে অত্যাধুনিক ফায়ারওয়াল প্রযুক্তি রয়েছে। যা দিয়ে সহজেই ভিপিএন ব্লক করা যায়।
সোমবার টিকটক, ইউসি ব্রাউজার, শেয়ার-ইট, উই-চ্যাট, ক্যামস্ক্যানার-সহ মোট ৫৯টি মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করে কেন্দ্র। যা চীনের বিরুদ্ধে ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের দাবি, ভারতের সুরক্ষা, সংহতি, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং এ দেশের সাধারণ মানুষের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই আইনের ৬৯ক ধারায় এই সিদ্ধান্ত। পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চিন-ভারত সংঘাতের আবহে এই ঘোষণা স্বাভাবিক ভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা অ্যাপগুলির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ভারতে অবশ্য বিপুল। শুধু টিকটকেরই ১০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী রয়েছেন। এই অ্যাপগুলির মাধ্যমে চীন তথ্য সংগ্রহ করে বলে সাম্প্রতিক অতীতে বারবার অভিযোগ উঠেছে। টিকটকের মতো জনপ্রিয় অ্যাপের বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলার। তবু মাঝে কয়েক দিনের নিষেধাজ্ঞা ছাড়া ওই বহুল ব্যবহৃত চীনা অ্যাপের গায়ে এত দিন হাত পড়েনি।
ভারতের এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন চীন। তারা সেই উদ্বেগ গোপনও করেনি। ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়, ভারতীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্লাটফর্মে থাকা মোবাইল অ্যাপকে কাজে লাগিয়ে গ্রাহকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই কারণেই সবদিক বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত। ভারতের এই কড়া পদক্ষেপ জানার পরেই নড়েচড়ে বসে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালযের তরফে ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘ঘটনা জানার পর চীন গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’ সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।