রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রাউফুর রহমান পরাগ, আশুলিয়া (ঢাকা) থেকে
আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে আঁকাবাঁকা হয়ে বয়ে চলা জিরানি-আমতলা সড়কের চিত্র এটি। রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ কিলোমিটার। সড়কটির অধিকাংশ অংশেরই এমন বেহাল দশা। রাস্তাটি জিরানি, আমতলা, পুকুরপাড়, গোহাইলবাড়ি, রাঙ্গামাটিসহ বেশ কিছু এলাকার চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে মিলিত হবার একমাত্র সড়ক পথ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তাটি ব্যবহার করে। রাস্তাটি ঘিরে রয়েছে অসংখ্য স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ সরকারি বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে শতাধিক শিল্প-কলকারখানা। রাস্তার বেশিরভাগ অংশেই রয়েছে দোকানপাট। অথচ এত গুরুত্বপূর্ণ সড়কের এমন বেহাল দশা দেখে বুঝার উপায় নেই যে এটি ঢাকা শহরের প্রানকেন্দ্র সাভারের আওতাধীন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার বেশির ভাগ অংশ পানিতে ডুবে গেছে। গাড়ি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থা হয়েছে যে নৌকা চালানো যাবে। রাস্তার দুই পাশে নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা ফলে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে থাকে। ফলে লোকজন তো দূরের কথা যানবাহন ও চলতে পারে না। কথা হয় সড়কটিতে চলাচলরত এক অটোরিকশা ড্রাইভারের সাথে, তিনি জানান, স্যার রাস্তার কথা কি আর কমু। গাড়ি চালাতে খুব অসুবিধা হয়। ১০ মিনিট পর পরই গাড়ি বন্ধ হয়ে যায় ইঞ্জিনে পানি ঢুকার কারণে। ফলে দিন শেষে যা থাকে তা দিয়ে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তিনি যোগ করে আরো বলেন দিনে যাও কষ্ট করে অনুমান করে চলা যায় কিন্তু রাত্রে পড়তে হয় অসহনীয় দুর্ভোগে। সড়কটি বর্ষা মৌসুমে একদম চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অল্প বৃষ্টিতে হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায় সড়কটির বেশিরভাগ নিচু জায়গা। তৈরি হয় ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ। এসময় যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা সাধারণ মানুষের হাঁটাচলাই দুরূহ হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীসহ বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য সড়কটি এসময় বেশি দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি নাজেহাল অবস্থা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংস্কারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। গার্মেন্ট শ্রমিকসহ হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটির এমন অবস্থা যেন দেখার কেউ নাই। তবে এ ব্যাপারে শিমুলিয়া ইউনিয়নের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গত দেড় মাস আগে সম্ভবত সাড়ে ৭ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করে সড়কটির টেন্ডার প্রদান করা হয়েছে। কাদের শিকদার নামে এক ঠিকাদার সেই টেন্ডার পেয়েছেন। শুধুমাত্র নির্দেশনার অপেক্ষায় সড়কটির নির্মাণ কাজ থেমে আছে। নির্দেশনা আসলে সড়কটির নির্মাণ কাজ আরম্ভ হবে কখন জানা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।