পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ ১ জুলাই। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় দিবস। ১৯২১ সালের আজকের এই দিনে প্রতিষ্ঠিত প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত বিশ^বিদ্যালয়টি। ৯৯তম বর্ষ পূর্ণ করে পা দিয়েছে শতবর্ষে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে স্বাধীন জাতিসত্তার বিকাশের লক্ষ্যে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যে প্রক্রিয়া শুরু হয় তা পূর্ণতা পায় ১৯২১ সালে।
ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন শাসকদের অন্যায্য সিদ্ধান্তে পূর্ববঙ্গের মানুষের প্রতিবাদের ফসল হচ্ছে এই বিশ^বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় তৎকালীন পূর্ববঙ্গ, পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান এবং বর্তমান বাংলাদেশ ও এর জনগোষ্ঠীর আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০’র গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ এই অঞ্চলের সকল সঙ্কট, দুর্যোগে আলোর দিশারী হয়ে পথ দেখিয়েছে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এবার দিবসটি স্বল্পপরিসরে উদ্যাপিত হবে বলে জানিয়েছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল সাড়ে ১০টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়ানো এবং বেলা ১১টায় প্রফেসর আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মিটিং। সভায় জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সংযুক্ত হয়ে ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : আন্দোলন ও সংগ্রাম’ শীর্ষক মূল বক্তব্য প্রদান করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি : ১৯১২ সালের ২ ফেব্রæয়ারি ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রæতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইস রয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। এর মাত্র তিন দিন পূর্বে ভাইস রয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন জানিয়ে ছিলেন ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, ধনবাড়ির নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক এবং অন্যান্য নেতারা। ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ব্যারিস্টার আর. নাথানের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠিত হয়। ১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয় নাথান কমিটির ইতিবাচক রিপোর্ট এবং ওই বছরই ডিসেম্বর মাসে সেটি অনুমোদিত হয়। ১৯১৭ সালে গঠিত স্যাডলার কমিশনও ইতিবাচক প্রস্তাব দিলে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইন সভা পাশ করে ‘দি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট (অ্যাক্ট নং-১৩) ১৯২০’। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার উন্মুক্ত হয় ১৯২১ সালের ১ জুলাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।