নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার খালিদ ওয়াজির আর নেই। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ২৭ জুন যুক্তরাজ্যের চেস্টারে মারা ইন্তেকাল করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
খালিদ ওয়াজির ১৯৫৪ সালের ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড সফরের পাকিস্তান দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। লম্বা গড়নের এই ক্রিকেটার নিজ খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন মিডিয়াম পেসার কাম মিডল অর্ডারের হার্ডহিটিং ব্যাটসম্যান। তিনি পাকিস্তানের ১৬তম টেস্ট ক্রিকেটার। লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকের সময় তিনি ছিলেন দেশের দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার। তার চেয়ে কম বয়সে তখন অভিষেক হয়েছে কেবল হানিফ মোহাম্মদের। ১৯৫৪ সালের ওই সফরে খেলা দুই টেস্টেই থেমে গেছে ওয়াজিরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। তবে ওই সিরিজটা পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। ১-১ সমতায় শেষ করা সিরিজটিই বিশ্ব ক্রিকেটে পাকিস্তানকে বড় শক্তি হয়ে ওঠার জানান দিয়েছিল। ওয়াজিরের ওই ইংল্যান্ড সফরে যাওয়াটা ছিল বড় চমক। মাত্র দুটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়েই দলে জায়গা পেয়েছিলেন তিনি। সফরের আগে খেলেননি কায়েদে আজম ট্রফিতেও। তবে ইংল্যান্ড সফরে দল সাফল্য পেলেও খেলোয়াড় হিসেবে ভালো করতে পারেননি ওয়াজির। চার ম্যাচের সিরিজে প্রথম এবং তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে তিন ইনিংসে মাত্র ১৪ রান করতে পেরেছিলেন এই অলরাউন্ডার। বোলিংয়ের সুযোগই পাননি। সেটাই ছিল তার প্রথম ও শেষ দলে সুযোগ পাওয়া।
১৯৬২ সালে ইংল্যান্ড সফরেও অবশ্য দলে ডাক পেয়েছিলেন, তবে একটি ম্যাচও খেলার সুযোগ হয়নি তার। এরপর থেকেই তিনি ইংল্যান্ডে স্থায়ী হয়ে যান। নর্থ স্টাফোর্ডশায়ার এবং ডিস্ট্রিক্ট লিগে সফল ক্লাব ক্রিকেটার হিসেবে খেলেছেন।
খালিদ ওয়াজির নিজে পাকিস্তানের হয়ে খেললেও তার বাবা টেস্ট ক্রিকেটে খেলেছেন ভারতের হয়ে। দেশ বিভাগের আগে ১৯৩০-এর দশকে তার বাবা ওয়াজির আলি এবং ভাই নাজির আলিও ভারতের হয়ে খেলেন। দেশ ভাগ হয়ে যাওয়ার পর ওয়াজিরের পরিবার জালান্ধর থেকে করাচিতে চলে আসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।