Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জনসংখ্যা রিপোর্ট ২০২০ প্রকাশ, বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ বন্ধে ইউএনএফপি’র আহ্বান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২০, ৭:০৩ পিএম

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা) ২০২০ এর জনসংখ্যা সম্পর্কিত রিপোর্টটি (স্টেট অব ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিপোর্ট) প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রতি বছর লাখ লাখ মেয়ে তাদের পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সমাজের সম্পূর্ণ জ্ঞাত এবং সম্মতিতে এমন কিছু চর্চা/রীতি/অনুশীলনের শিকার হয় যা তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

বিশ্ব সমাজে কমপক্ষে, ১৯ টি ক্ষতিকর চর্চা/রীতি/অনুশীলন রয়েছে যা মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচনা করা হয় তন্মধ্যে ইউএনএফপিএ’র প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রচলিত দু’টি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে: শিশু বিবাহ এবং ছেলের সন্তানের জন্য মেয়েদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব বা বৈষম্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশেই সর্বাধিক শিশুবিবাহ সংঘটিত হয়। শিশুবিবাহ বন্ধের জন্য বছরের পর বছর ধরে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হলেও বিশেষ করে কোভিড -১৯ এর প্রেক্ষাপটে এই খাতে অব্যাহত বিনিয়োগ এবং অধিক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। এটি সহজেই অনুমেয় যে যেকোনো দুর্যোগ এবং সঙ্কটের সময়ে শিশুবিবাহের মত ক্ষতিকর চর্চা/রীতি/অনুশীলনের ঘটনা বৃদ্ধি পেতে পারে।

জেন্ডার-ভিত্তিক লিঙ্গ নির্বাচন একটি ক্ষতিকর চর্চা/রীতি/অনুশীলন যা একই লিঙ্গ নীতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও উদ্ভূত হয় এবং তা শিশুবিবাহের দিকে ধাবিত করে। কারণ হিসেবে মনে করা হয় যে মেয়েরা তাদের পরিবারের পক্ষে বোঝা ও তারা পুরুষদের মতো পরিবার ও সমাজে অবদান রাখার মতো সামর্থ্য রাখে না। বাংলাদেশে বর্তমানে এসব ক্ষতিকর চর্চা কমে আসলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগ (ডিপার্টমেন্ট আব পপুলেশন সায়েন্সেস) দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে জেন্ডার-পক্ষপাতদুষ্ট লিঙ্গ নির্বাচনের পূর্বশর্তগুলো দৃঢ়ভাবে এখনও বিদ্যমান।

ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে, বাংলাদেশে ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধি ডক্টর অশা টর্কেলসন বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই আবদ্ধ ও প্রচলিত সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং অনুশীলনগুলি পরিবর্তন করে নারী ও মেয়েদের প্রতি শ্রদ্ধা জাগ্রত করতে হবে। এর অর্থ বৈষম্যের মূল কারণগুলিকে বেড় করে তা প্রতিহত করা এবং মেয়েদের স্বায়ত্তশাসনকে সম্মান করা।’

প্রধান অতিথি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনাব কাজী রওশন আক্তার, বিগত কয়েক বছর ধরে যে অগ্রগতি হয়েছে, বিশেষত ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে বাল্যবিবাহের অবসান ঘটাতে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা চালু করার কথা তুলে ধরেন। বিশেষত কোভিড-১৯ এর ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জগুলির সাথে সাথে বাংলাদেশের ক্ষতিকর অনুশীলনসমূহের অবসান ঘটাতে সুদৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সমস্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় এবং বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের উপর জোর দিয়েছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ