মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তুরস্ক থেকে গ্রিসের পথে সমুদ্রের মধ্যে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ওপর আক্রমণ চালায় কিছু মুখোশধারী ব্যক্তি। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রিসের কোস্ট গার্ডই এই হামলা চালিয়েছে।
গত ৪ জুন এই হামলার ঘটনা ঘটে। মুখোশ পরা কয়েকজন হামলাকারী সমুদ্রের মাঝখানে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌকায় উঠে পড়ে। ছুরি দিয়ে নষ্ট করে দেয় তাদের নৌকার ইঞ্জিন। ফুটো করে দেয়া হয় মেঝে। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। তাদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার মতোও কেউ ছিল না।
দীর্ঘ দিন ধরেই তুরস্কের পথ ধরে ইউরোপে পালাচ্ছেন সিরিয়া, আফগানিস্তানের উদ্বাস্তুরা। যুদ্ধের হাত থেকে বাঁচতে এটাই তাদের পালানোর একমাত্র পথ। তুরস্কে দালালদের টাকা দিলে গ্রিসের নৌকোয় ওঠার অনুমতি মেলে। সেই নৌকো করেই ইউরোপে নতুন স্বপ্নের খোঁজে পাড়ি দেন উদ্বাস্তুরা।
গত ৪ জুনও সেভাবেই নৌকোয় চেপে বসেছিলেন অনেকে। ভূমধ্যসাগর দিয়ে নৌকো যখন গ্রিসের সমুদ্রসীমায় ঢোকে তখনই ঘটে বিপত্তি। হঠাৎই সকলে দেখতে পান, দূরে দাঁড়িয়ে আছে কোস্ট গার্ডের একটি জাহাজ। আর সেখান থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসছে আরেকটি নৌকো। চার-পাঁচজন মুখ ঢাকা ব্যক্তি সেই নৌকো করে চলে আসেন উদ্বাস্তুদের নৌকোর কাছে। রুল দিয়ে মারতে মারতে তারা উঠে উদ্বাস্তুদের নৌকোয়। নষ্ট করে দেয়া হয় ইঞ্জিন, ভেঙে দেয়া হয় সব কিছু। প্রাণ বাঁচাতে একের পর এক উদ্বাস্তু সমুদ্রে ঝাঁপ দিতে শুরু করেন। এই সবটাই ঘটেছে গ্রিসের লেসবস দ্বীপের কাছে।
দীর্ঘ দিন ধরে জলপথে আসা উদ্বাস্তুদের নিয়ে কাজ করছে একটি সংস্থা। জলে উদ্বাস্তুরা সমস্যায় পড়লে ওই সংস্থাটি হেল্পলাইন নম্বরে ফোন পায়। গোটা ঘটনাটির পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা তাদের কাছে আছে। তাদের দাবি, সব কিছু খতিয়ে দেখে বোঝাই যাচ্ছে ঘটনাটি গ্রিসের কোস্ট গার্ডরাই ঘটিয়েছে। কিন্তু বিষয়টি প্রমাণ করার মতো কোনও তথ্য নেই। কারণ যারা উদ্বাস্তুদের নৌকো আক্রমণ করেছিল, তারা কেউ ইউনিফর্মে ছিল না। মুখ ঢাকা ছিল। যে নৌকোটি করে তারা এসেছিল, সেই নৌকোটিতেও কোনও সংস্থার নাম লেখা ছিল না। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দূরে গ্রিস কোস্টগার্ডের জাহাজ তারা দেখতে পেয়েছেন। একবার নয়, মুখোশধারী ব্যক্তিদের এমন আক্রমণ বার বার ঘটেছে। ৪ জুনের ঘটনার পরে ফের ৫ জুন একই ঘটনা ঘটে। যদিও ৫ জুন গোটা ঘটনার ভিডিও করতে পারেননি উদ্বাস্তুরা।
গ্রিসের কোস্টগার্ডের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছিল ডিডাব্লিউ। তারা স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে। শুধু তাই নয়, তারা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক জলসীমার আইন মেনেই তারা কাজ করে। উদ্বাস্তু বিষয়ে যা যা আইন রয়েছে, তাও তারা মেনে চলে। যদিও বিষয়টিকে এখানেই ছেড়ে দিতে চাইছে না বিভিন্ন অধিকার রক্ষা সংস্থা। উদ্বাস্তুদের ভিডিও থেকে তারা যা তথ্য সংগ্রহ করেছে, তা থেকে স্পষ্ট, এ কাজ গ্রিসের কোস্টগার্ডরাই ঘটিয়েছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপের কথাও ভাবছে তারা।
তুরস্ক থেকে গ্রিসে পৌঁছতে গিয়ে এর আগেও একাধিক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। শিশুর মৃতদেহ সমুদ্রে ভাসতে দেখা গিয়েছে। ঘটেছে একাধিক নৌকোডুবির ঘটনা। বিভিন্ন সময় উদ্বাস্তুদের আটকাতে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে গ্রিস। বহু উদ্বাস্তু আবার ইউরোপে পৌঁছতেও পেরেছেন। বহু উদ্বাস্তু পালানোর পথে পরিবারকে হারিয়েছেন। সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ অবস্থা। তারই মধ্যে নতুন এই ঘটনা সাড়া ফেলে দিয়েছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।