মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করাচিতে পাকিস্তানি স্টক এক্সচেঞ্জ বিল্ডিংয়ে গতকাল সকালে এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ভারী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চার সশস্ত্র বন্দুকবাজ ওই হাই সিকিউরিটি জোনে হামলা চালায়। এ হামলায় নিরাপত্তা কর্মীদের গুলিতে ওই ৪ জঙ্গিসহ মোট ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, স্টক এক্সচেঞ্জের চার নিরাপত্তা কর্মী, এক সাব ইন্সপেক্টর ও একজন নিরস্ত্র নাগরিকসহ মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিন পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। জঙ্গিরা স্টক এক্সচেঞ্জের মূল গেটে হ্যান্ড গ্রেনেড দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। তার পর বিল্ডিং চত্বরে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে।
ভবনটির অবস্থান করাচির উচ্চ নিরাপত্তা অঞ্চলে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকেরও প্রধান কার্যালয় রয়েছে সেখানে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী সকাল দশটার দিকে হামলার ঘটনাটি ঘটে। হামলাকারীরা ভবনের বাইরে থেকে প্রথমে গ্রেনেড এবং পরে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। রিজওয়ান আহমেদ নামে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রবেশমুখে গুলি চালিয়ে তারা নিচ তলায় ঢুকে পড়ে। তবে মূল কমপাউন্ডে তারা প্রবেশ করতে পারেনি বলে এআরওয়াই নিউজকে জানিয়েছেন পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাররুখ খান।
পাকিস্তানি পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে চার জঙ্গিই মারা গিয়েছে। পুলিশ গোটা এলাকা সিল করে দিয়েছে। আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কিনা খুঁজে দেখা হচ্ছে। অহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। করাচি পুলিশের প্রধান গুলাম নবি মেমন জানিয়েছেন, ‘চার হামলাকারীর মৃত্যু হয়েছে। একটি রুপালি রঙের টয়োটা করোলা গাড়িতে এসেছিল তারা।’
ঘটনাস্থল থেকে আধুনিক অস্ত্র, গ্রেনেড ও বিভিন্ন বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে সিন্ধু রেঞ্জার্সের মহাপরিচালক ওমর আহমেদ বুখারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, আট মিনিটের মধ্যে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর যৌথ অভিযান স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২ মিনিটে শুরু হয়েছিল এবং সকাল ১০ টা ১০ মিনিটের মধ্যে আক্রমণকারীরা নিহত হয়েছিল। আক্রমণকারীদের মৃত্যুর পরে, সুরক্ষা বাহিনী ‘ক্লিয়ারেন্স’ অপারেশন চালায় এবং ৩০-৩৫ মিনিটের মধ্যে এলাকায় স্বাভাবিকতা ফিরে আসে। তিনি জানান, ‘সন্ত্রাসীরা একটি দীর্ঘ হামলার পরিকল্পনা করেছিল, যার মধ্যে রক্তপাত এবং বিল্ডিংয়ের ভিতরে লোকদের জিম্মি করা অন্তর্ভুক্ত ছিল। সমস্ত আক্রমণকারী একে ৪৭ রাইফেল ও হ্যান্ড গ্রেনেডে সজ্জিত ছিল এবং তাদের কাছে যথেষ্ট পরিমান খাবারও ছিল।’ বালুচ লিবারেশন আর্মি এক টুইট বার্তার মাধ্যমে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ‘যে ভাবে আমাদের পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষীরা নিজেজের জীবন বিপন্ন করে এই হামলার মোকাবিলা করেছেন তার জন্য গর্বিত।’ অন্য দিকে, জঙ্গি হামলার পরেও স্টক এক্সচেঞ্জের কাজ থমকে যায়নি বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান সুলেইমান এস মেহদি। তিনি বলেন, ‘কোনও সন্দেহ নেই যে এটা জঙ্গি হামলা। কিন্তু আমাদের নিরাপত্তারক্ষীরা যে ভাবে নিজেদের জীবন উৎসর্গ জঙ্গিদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দিয়েছেন, তা প্রশংসার যোগ্য। যদি ওরা বাধা না দিত তা হলে আরও অনেক বেশি প্রাণহানি হত।’ সূত্র : রয়টার্স, ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।