পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লসঅ্যাঞ্জেলসে বাংলাদেশের কনস্যুলেট অফিস স্থাপন দুর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা না নেয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তথা সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা হচ্ছে। ‘ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন’র পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার এ মামলা করবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ১৮ জুন ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ছিলো সংস্থাটি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন ব্যারিস্টার পল্লব। গতকাল তিনি ইনকিলাবকে জানান, লসঅ্যাঞ্জেলেসে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস স্থাপনের বাজার মূল্যের চেয়ে ২৩ গুণ বেশি দামে বাড়ি কেনেন তৎকালীন কনস্যুলেট। এই দুর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দুদকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু অনুরোধে প্রতিষ্ঠানগুলো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইতিবাচক কোনো সাড়া দেয়নি।
তিনি আরও জানান, কনসুলেট অফিস স্থাপনের জন্য গতবছর জুন মাসে একটি বাড়ি কেনা হয়। বাড়িটির ক্রয় মূল্য দেখানো হয় ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার। যা বর্তমান স্থানীয় বাজার মূল্যের চেয়ে ২৩ গুণ বেশি। একইভাবে অফিসের কনস্যুালার বাসভবনের জন্য কেনা হয় আরেকটি বাড়ি। এটির মূল্য পরিশোধ করা হয় ৩২ লাখ মার্কিন ডলার। যেটির বাজার মূল্যও ২০ লাখ ডলারের বেশি হওয়ার কথা নয়। বৃহৎ এই দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে দুদকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দফতরেও দেয়া হয় অভিযোগ। কিন্তু এই অভিযোগের কোনো তদন্ত হয়নি। উপরন্তু কেনাকাটার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা প্রিয়তোষ সাহাকে ঢাকায় ডেকে পাঠানো হয়। তদন্ত এড়িয়ে তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় বাধ্যতামূলক অবসরে। ঘটনাটি লসঅ্যাঞ্জেলসে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিলেও দুদক কিংবা বাংলাদেশ সরকার নেয়নি কোনো ব্যবস্থা। যেহেতু ভবন দুটি কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সেহেতু দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী অভিযোগটি যথাযথ অনুসন্ধান, তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে দেশের ভাবমর্যাদা জড়িত। এছাড়া এসব অভিযোগের যথাযথ তদন্ত এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি না সেটা জানার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে। বৃহৎ এই দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে কোনো ধরণের দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে দুর্নীতিবাজরা অনুপ্রাণিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।