মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একদিকে চীন, নেপাল, চোখ রাঙানি অপরদিকে পাকিস্তান এবং জম্মু-কাশ্মীরের হুমকি মোকাবেলা, সাথে আছে বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা! এসবের মাঝেই ভারতে হানা দিচ্ছে ফসল বিনষ্টকারী পতঙ্গ পঙ্গপাল। কোনটা সামলাবে ভারত?
মাসখানেক আগে পশ্চিম ও মধ্য ভারতে উপদ্রব দেখা দিয়েছিল পঙ্গপালের। এবার ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল পৌঁছেছে উত্তর ভারতেও। রাজধানী দিল্লি সংলগ্ন গুরুগ্রামের আকাশ ছেয়ে গিয়েছে পঙ্গপালে। হরিয়ানার বিস্তীর্ণ অঞ্চলেও তাদের উপদ্রব বেড়েছে। তাদের হাত থকে বাঁচতে দরজা-জানালা বন্ধ করে এক রকমের গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন স্থানীয় মানুষ। তবে গুরুগ্রামে পঙ্গপাল প্রবেশ করলেও এখনো রাজধানী দিল্লির দিকে আসেনি। আশঙ্কা করা হচ্ছে যেকোনো দিন দিল্লিতেও হানা দিতে পারে এই বিধ্বংসী পতঙ্গ।
গুরুগ্রামের সাইবার হাব এলাকায় শুক্রবার বিকেল থেকেই পঙ্গপালের উপদ্রব শুরু হয়। তার জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের দরজা-জানালা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। থালা-বাসন বাজিয়ে পঙ্গপাল তাড়ানোর পরামর্শও দেওয়া হয়। এমজি রোড, ইফকো চক, ডিএলএফ ফেজ আই-৪, ভিলেজ চক্করপুর, সিকন্দরপুর, সুখরালির মতো গুরুগ্রামের ব্যস্ত এলাকাতেও এ দিন পঙ্গপাল হানা দেয়।
পঙ্গপালের উপদ্রবে গ্রামাঞ্চলে শস্যহানির আশঙ্কা রয়েছে। হরিয়ানার ঝাজ্জরে ইতোমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে পঙ্গপালের দল। তাদের মারতে কৃষকদের দমকল প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন, যাতে দমকলের ইঞ্জিন থেকে কীটনাশক স্প্রে করা যায়। পঙ্গপালের বিরুদ্ধে রাজ্যের সমস্ত গ্রামে সতর্কবার্তা পৌঁছে দিতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য কৃষি দফতর।
পঙ্গপালের সাথে লড়াই করতে ১১টি কন্ট্রোল রুম খুলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরই মধ্যে হরিয়ানার মুখ্যসচিব কেশনি আনন্দ অরোরা রাজ্যের কৃষিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন পঙ্গপালের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে সব রকম পদক্ষেপের প্রস্তুতি রাখে।
এর আগে রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং হরিয়ানাসহ পশ্চিম এবং মধ্য ভারতের বহু অংশে হানা দিয়ে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট করেছে পঙ্গপাল।
মূলত আফ্রিকা থেকে এই পঙ্গপালের ঝাঁক ইরান, পাকিস্তান হয়ে ভারতে এসে ঢুকেছে। এরা ক্ষেতের পর ক্ষেত নষ্ট করে দিতে পারে চোখের পলকেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।