Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই টুকরো পাথরে কোটিপতি এক শ্রমিক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০২০, ৪:২৮ পিএম

আফ্রিকা মহাদেশের ছোট একটি দেশ তাঞ্জানিয়া। দেশটির সাধারণ এক খনি শ্রমিক সানিনিও লাইসের। দুই টুকরো মূল্যবান রত্ন পাথর পাল্টে দিয়েছে তার ভাগ্য। রাতারাতি সাধারণ খনি শ্রমিক থেকে কোটিপতি বনে গেলেন তিনি। তাঞ্জানিয়ার এই লোকটির কাছে এখন ৩৪ লাখ ডলার!
যেই দুই রত্ন পাথরে রাতারাতি ধনী হলেন সানিনিও লাইসের, সেটির নাম ‘তানঞ্জানিতে স্টোন’। এখন পর্যন্ত পাওয়া অতিমূল্যবান এই রত্নপাথরের সবচেয়ে বড় দুটি টুকরো পাওয়া গেছে তার হাত ধরে।
বিবিসি জানিয়েছে, লাইসেরের পাওয়া ‘তানঞ্জানিতে স্টোন’ দুটির ওজন ১৫ কেজি। টুকরো দুটির বিনিময়ে দেশটির খনি মন্ত্রণালয় থেকে পেয়েছেন ২৪ লাখ পাউন্ড তথা ৩৪ লাখ ডলার।
এ ঘটনায় লাইসেরকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঞ্জানিয়ার প্রেসিডেন্ট জন ম্যাগুফুলি। তিনি বলেন, ‘এটা প্রমাণ করে তাঞ্জানিয়া ধনী একটি দেশ।’
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, লাইসেরের পাওয়া ‘তানঞ্জানিতে স্টোন’ দুটির ওজন ১৫ কেজি। টুকরো দুটির বিনিময়ে দেশটির খনি মন্ত্রণালয় থেকে পেয়েছেন ২৪ লাখ পাউন্ড বা ৩৪ লাখ ডলার।
ওই অর্থ পাওয়ার পর ভীষণ খুশি সানিনিও লাইসের। পাওয়া অর্থ দিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ৫২ বছর বয়সী এই খনি শ্রমিক বলেন, ‘আমি একটি শপিং মল ও একটি স্কুল নির্মাণ করতে চাই। আমার বাড়ির কাছেই স্কুলটি নির্মাণ করতে চাই। এখানে অনেক দরিদ্র মানুষ, তারা তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর খরচ বহন করতে পারে না।’
লাইসের আরও বলেন, ‘আমি শিক্ষিত নই। এরপরও এ ব্যাপারগুলো পেশাদারীভাবে চালাতে চাই। তাই চাইব আমার ছেলেমেয়েরা ব্যবসা-বাণিজ্য দক্ষতার সঙ্গে চালিয়ে নেবে।’
টাকাগুলো রাখতে কোনো নিরাপত্তা সমস্যা হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে লাইসের বলেন, ‘এখানে যথেষ্ট নিরাপত্তা আছে। কোনো সমস্যা হবে না। এমনকি রাতে আমার হাঁটা-চলাতেও কোনো সমস্যা নেই।’
নিজের ভবিষ্যত সম্পর্কে লাইসের জানান, হঠাৎ করে এত অর্থ পেলেও নিজের জীবনযাত্রায় বদলাবেন না। নিজের ২ হাজারটি গরু দেখভাল চালিয়ে যাবেন তিনি।
পৃথিবীতে একমাত্র তাঞ্জানিয়ার উত্তরাঞ্চলেই অতি মূলব্যান ‘তানঞ্জানিতে স্টোন’ পাওয়া যায়। দামি অলংকার তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এই রত্ন পাথর। বিরল হওয়ায় এবং লাল, সবুজ, পার্পল, নীলসহ বিভিন্ন রং ও ঔজ্জ্বল্যের কারণে অলংকার প্রেমীদের মাঝে এর কদর অনেক।
এটা পৃথিবীতে বিরল রত্ন পাথরগুলোর একটি। স্থানীয় একজন ভূ-তত্ত্ববিদের পূর্বাভাস, আগামী ২০ বছরের মধ্যে তানঞ্জানিয়াতে স্টোন একেবারে ফুরিয়ে যাবে।
গত সপ্তাহে খনি থেকে লাইসেরের পাওয়া টুকরো দুটির ওজন ৯.২ ও ৫.৮ কিলোগ্রাম। গতকাল বুধবার একটি তাঞ্জানিয়ার উত্তরাঞ্চলের মায়ারায় একটি ট্রেডিং ইভেন্টে বিক্রি করেন তিনি। এর আগে পাওয়া তাঞ্জানিয়াতে স্টোনের সবচেয়ে বড় টুকরো ছিল ৩.৩ কিলোগ্রাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ