Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ-পশ্চিমে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা

মিজানুর রহমান তোতা : | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

স্মরণকালের মহাদুর্যোগ ও সঙ্কটেও গ্রামীণ অর্থনীতির প্রাণশক্তি কৃষিখাত এগিয়ে চলেছে। খাদ্যে উদ্বৃত্ত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। নীরব বিপ্লব ঘটছে গ্রামে গ্রামে। মাঠের আবাদি জমিই কৃষকদের বড় সম্পদ। স্বাচ্ছন্দ্য, অনায়াস উদ্দীপনা, উদ্যম ও শক্তি নিয়ে দিনরাত মাঠে পরিশ্রম করে অর্থনীতির চাকা ঘুরাচ্ছেন কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিসংখ্যানে জানা যায়, করোনার ধাক্কায় কৃষি উৎপাদন বেড়ে গেছে। বহু অনাবাদী জমি এসেছে আবাদের আওতায়। শুধু কৃষক নয়, এর সাথে জড়িতরাও আর্থিকভাবে হচ্ছেন লাভবান। বর্তমানে গ্রামীণ অর্থনীতি বহুলাংশে চাঙ্গা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী সারাদেশের মধ্যে সবজি, ফুল, রেণুপোনা, খেজুর গুড়, সাদা সোনা চিংড়ি, মসুর, মরিচ, মটরসহ বিভিন্ন কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে এ অঞ্চলটি। ধান, ভুট্টা উৎপাদনে রয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয়পর্যায়ে। শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার প্রাণান্ত চেষ্টা চলছে সবজি উৎপাদনে। করোনার ভয় তাদের স্পর্শ করেনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সবজি (দু’টি মৌসুমে) ১ লাখ ২৩ হাজার ৯ শ’ ৫০ হেক্টর, বোরো ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫ শ’ ৭৬ হেক্টর, মসুর ১ লাখ ১০ হাজার ২ শ’ ৯০হেক্টর, মরিচ ১০ হাজার ৭ শ’ ২৪ হেক্টর জমি আবাদ ও উৎপাদন হয়ে দেশের মধ্যে রয়েছে শীর্ষে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বিএডিসি সূত্র জানায়, কৃষি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত অঞ্চলটি বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদনে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে বরাবরই। যশোর, খুলনা, মাগুরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের (বর্তমানে যশোরের ৬টি জেলা ও খুলনার ৪টি জেলা নিয়ে গঠিত দু’টি কৃষি অঞ্চল) এই ১০ জেলায় মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৬৫ হেক্টর। প্রায় ৩ কোটি জনসংখ্যার এই অঞ্চলটিতে ৭ হাজার ৮ শ’ ৩০ গ্রাম রয়েছে। এ অঞ্চলে সাময়িক পতিত ও স্থায়ী পতিতসহ অনাবাদী জমি ছিল ১ লাখ হেক্টরেরও বেশী জমি। যার পুরোটা আবাদের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে পুরোদমে। অঞ্চলে খাদ্য চাহিদা রয়েছে ৩০ লাখ ৭৫ হাজার ৬০৯ মেট্রিক টন। গড় হিসাবে ধান ও গমসহ খাদ্যশস্য উৎপাদন হয় ৪১ লাখ ৮ হাজার ২৯০ মেট্রিক টন। খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকে ১০ লাখ ৩২ হাজার ৬৮১ মেট্রিক টন।
যশোর এম এম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নাসিম রেজা জানান, করোনার ধাক্কায় অনেক কিছুরই নতুন শিক্ষা দিয়েছে। কৃষি জমিই গ্রামীণ অর্থনীতির একমাত্র ভরসা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রামীণ-অর্থনীতি-চাঙ্গা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ