Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের ৫৪২৭ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০২০, ৮:৫৪ পিএম | আপডেট : ৯:৩৭ এএম, ২৬ জুন, ২০২০

২০১৯ সালে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে (সুইস ব্যাংক) বাংলাদেশিদের মোট আমানত বা সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৩০ লাখ ফ্র্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা। (প্রতি সুইস ফ্র্যাংক ৮৭ টাকা হিসাবে)।

২০১৮ সালে এ অঙ্ক ছিলো ৬১ কোটি ৭৭ লাখ ফ্রাঁ বা ৫ হাজার ৫৫৩ কোটি। আগের বছরের তুলনায় যা কমেছে মাত্র ১৩০ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়। প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। যদিও ২০১৯ সালে সুইস ব্যাংকে এই দুই প্রতিবেশী দেশের আমানত কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব গোপন রেখে জমা করা টাকার তথ্য উঠে আসেনি এতে। সুইস ব্যাংকে আমানতের হিসাবে ২০১৯ সালেও বিশ্বে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাজ্য। অবশ্য কালো টাকার বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থানে ভারত-পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী সব দেশ থেকেই সুইস ব্যাংকে আমানত অনেক কমেছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিনিয়োগ না হওয়ায় পুঁজি পাচার হচ্ছে। এছাড়া একদিকে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ নেই; অপরদিকে তারাই হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। যদি এ ধরনের কাজ আইনের আওতায় না এনে প্রশ্রয় দেয়া হয়, তবে এটি বাড়তে থাকবে। এ অবস্থা উত্তরণে আরো বড় ধরনের সংস্কার দরকার।

জানা গেছে, ধনীদের অর্থ গোপনে গচ্ছিত রাখার জন্য বহুযুগের খ্যাতি সুইজারল্যান্ডের। প্রায় ২০০ বছর ধরে, এই ধরনের ব্যাংকিং সেবার কেন্দ্র ইউরোপের দেশটি। ৮০ লাখ মানুষের দেশে, ব্যাংকের সংখ্যা ২৪৬টি। গ্রাহকের নাম, পরিচয় গোপন রাখতে কঠোর তারা। ধারণা করা হয়, অবৈধ আয় ও কর ফাঁকি দিয়ে জমানো টাকা রাখা হয়, সুইস ব্যাংকে। সুনির্দিষ্ট গ্রাহকের তথ্য না দিলেও, কয়েক বছর ধরে দেশভিত্তিক আমানতের পরিমাণ প্রকাশ করছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।



 

Show all comments
  • Palash ২৭ জুন, ২০২০, ৬:৫০ পিএম says : 0
    গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুইস ব্যাংক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ