Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সীতাকুন্ডে আউশ রোপনে ব্যস্ত কৃষক

বাম্পার ফলনের আশাবাদ

শেখ সালাউদ্দিন, সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০২০, ৮:৪৫ পিএম

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে করোনাকে পেছনে ফেলে চলতি মৌসুমে আউশের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন ১৪ হাজারেরও বেশি কৃষি পরিবার। প্রকৃতির করুনার এক পশলা বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমার সাথে সাথে চারা রোপন শুরু করে দেন তারা। কিন্তু সময়মত বৃষ্টি হলেও করোনার কারণে আউশের চারা রোপনে কিছুটা পিছিয়ে পড়েন বলে কৃষক সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলা টেরিয়াইল বøকে দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পিপাস কান্তি চৌধুরী বলেন, আউশ রোপনের শেষ সময় পর্যন্ত এ বøকে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে ১১০০ কৃষক আউশের বিভিন্ন জাতের চারা রোপন করা শুরু করেছেন। এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে কৃষককে দেয়া প্রদর্শনির জন্য উফশী আউশ জাতের ধানচাষ ও শুরু হয়েছে। এর উৎপাদন হলে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে তা বিনামূল্যে কৃষকরাই বিতরণ করবেন। এতে করে এ জাত আস্তে আস্তে প্রতিটি ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়বে। আর বাড়বে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও।
এদিকে বাড়বকুন্ড ইউনিয়নের দক্ষিন মাহমুদাবাদ বøকে দায়ীত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, প্রতিবারের মত এবারও জুনে আউশের বিভিন্ন জাতের ধান রোপন করা শুরু করেছে কৃষক। চলতি বছরে এ বøকে ৩০০ হেক্টর জমিতে ৭০০ কৃষক আউশ রোপন করছেন। এছাড়া বাড়বকুন্ড পুরো ইউনিয়নে ১৮০০ হেক্টর জমিনে আউশ রোপন শুরু করেছে কৃষক। অপরদিকে পৌরসভা এলাকায় দায়িত্বে থাকা উপসহকারী মো. শাহ্ আলম বলেন, পৌরসভা এলাকায় ৪২০ হেক্টর জমিতে ১২শ’ কৃষক আউশ রোপন শুরু করেছেন। বর্তমানে জমিতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় অনেক আনন্দে তারা জমিতে আউশ রোপন করছেন।
পৌরসভাধীন এলাকায় ১৩০ জন প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে ধানবীজ ও প্রনোদনা বিতরণ করা হয়েছিল। আর সোনালী ধান আউশ কাটা শুরু হবে আগস্টের দিকে। এদিকে ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নের এক পুরানো কৃষক মো. আবু তাহের বলেন,চলতি মাসের কয়েক দিন আগে অন্যান্য বছরের মত আউশ চাষ করছি আমি। প্রথম অবস্থায় জমিতে পানি তেমন ছিল না। বর্তমানে জমিতে প্রচুর পানি জমেছে । তাই আউশ রোপনে তেমন সমস্যা হয়নি এবার। তবে করোনার কারণে আউশ রোপনে কিছুটা আমরা পিছিয়ে পড়লেও এখন তা কাটিয়ে উঠেছি। প্রতিবছর পাহাড়ি ও সমুদ্্েরর ঢলের পানিতে আউশের ক্ষয়-ক্ষতি হয়ে থাকে। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দেয় তাইলে আউশের বাম্পার ফলন হবে বলে আমরা আশাবাদি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আল মামুন রাসেল বলেন, চলতি মৌসুমে সীতাকুন্ডের প্রত্যন্ত অঞ্চল জুড়ে ১৪ হাজার ২শ’ কৃষক পরিবার ৮হাজার ১০ হেক্টর জমিতে আউশ চারা রোপন করছেন। তার মধ্যে উফশী জাতের আউশ চাষ হয়েছে ৬,৫২০ হেক্টর ও হাইব্রিড চাষ হয়েছে ১,৪৯০ হেক্টরে। তিনি বলেন,এখন যত বৃষ্টি হবে ততই আউশের চারা রোপনে সহজ হবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে আগের চেয়ে আরো বেশি ধান উৎপাদন সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন,কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রনোদনার আওতায় সীতাকুন্ডে চলতি মৌসুমে ১৫’শ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিÍক কৃষদের মাঝে বিনামূল্যে রাসায়নিক সারও ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছিল। এতে করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা সরকারি ভাবে প্রনোদনা পেয়ে অনেক খুশি হয়েছেন। ফলে ধান উৎপাদনে তাদের অনেকটা উৎসাহ যোগাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষি

২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ