গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহারাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, আবুধাবী ও কাতার থেকে চাকরি হারিয়ে খালি হাতে দেশে ফিরছে প্রবাসী কর্মীরা। চড়া সুদে ঋণ ও ভিটেমাটি বিক্রি করে পরিবারে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে বিদেশে গিয়ে এসব কর্মীদের অনেকেই অভিবাসন ব্যয়ের টাকাও তুলতে পারেনি। অনেক প্রবাসী কর্মী নানা অপরাধে জড়িয়ে বিদেশের কারাগারে শাস্তি ভোগ করছে। করোনার কারণে কারাগারগুলো খালি করে বন্দিদের স্ব স্ব দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিভিন্ন দেশ। এছাড়া বিদেশে গিয়ে অনেকেই হৃদরোগসহ নানা কারণে মারা যাচ্ছে। দীর্ঘ দিন পর এসব কর্মীদের লাশ প্রায় প্রতিদিনই দেশে আসছে। বিমানবন্দরে প্রবাসীদের লাশের কফিন দেখে অপেক্ষমান স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছে। ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দায় দেশগুলোর অভিবাসী কমীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এসব দেশগুলো থেকে চাকরি হারিয়ে দেশে ফেরত আসা অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার গভীর রাতে বাহারাইন থেকে বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট যোগে চাকরি হারিয়ে ৪১৩ জন বাংলাদেশি কর্মী খালি হাতে দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ৫০জন কর্মী অসুস্থ এবং ৪০জন জেলখাটা কর্মী ছিল। ৩৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনে দেয়া হয়েছে। বিমান বন্দর কল্যাণ ডেস্কের এডি ফখরুল আলম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত রাতে একই ফ্লাইট যোগে দেশটি থেকে ৮ জন প্রবাসী কর্মীর লাশ এসেছে। এছাড়া গত রাতে মালয়েশিয়ার মাস কার্গোর একটি বিশেষ ফ্লাইট যোগে দেশটিতে বিভিন্ন সময়ে মৃত ২৪ জন প্রবাসী কর্মীর লাশ দেশে পৌঁছেছে। গত এক মাসে দেশটি থেকে শতাধিক প্রবাসী কর্মীর লাশ দেশে পৌঁছেছে। রাতে বিমানবন্দরে অপেক্ষমান স্বজনরা প্রবাসীদের লাশের কফিন দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এসব লাশ পরিবহন , দাফন ও কাফনের জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিল থেকে ৩৫ হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরে প্রত্যাগত প্রবাসী কর্মীরা জানয় করোনা মহামারীর মধ্যে এসব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক কোম্পানীতে কাজ না থাকায় হাজার হাজার প্রবাসী কর্মী কর্মস্থল থেকে ছাঁটাইয়ের ঝুঁকিতে পড়ছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র জানায়, ভয়াবহ করোনাভাইরাসের কারণে দেশটি বিভিন্ন কোম্পানীর কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এসব বন্ধ কোম্পাীতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে। দূতাবাসের সহায়তায় গত দেড় মাসে প্রায় ৫ হাজার প্রবাসী কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গত দেড় মাসে দেশটিতে কর্মরত অবস্থায় মৃত শতাধিক প্রবাসী কর্মীর লাশ দেশে পাঠানো হয়েছে। আবুধাবী ও দুবাই’র হাসপাতালগুলোর মর্গে এখনো বিশ জন প্রবাসীর লাশ পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া চাকরি হারিয়ে আরো যে সব বাংলাদেশি কর্মী দেশে ফিরতে চাচ্ছে তাদেরকে দূতাবাসের সহায়তায় পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
এদিকে, আজ বুধবার দিবাগত রাতে কাতারের দোহা, দুবাই ও আবুধাবী থেকে তিনটি বিশেষ ফ্লাইট যোগে আরো সহ¯্রাধিক প্রবাসী কর্মী চাকরি হারিয়ে দেশে ফেরার কথা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।