মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চার দশকের মধ্যে চীনের সাথে সবচেয়ে খারাপ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মুখোমুখি হওয়ার পরে ভারত রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ও যুদ্ধবিমানের বিক্রয় দ্রুত করার জন্য চাপ দিচ্ছে। চলতি রুশ সফরে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করতে পারেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভিক্টরি ডে উৎসবে যোগ দিতে বর্তমানে তিনদিনের রাশিয়া সফরে গিয়েছেন রাজনাথ। সূত্রের খবর, সেই ফাঁকে সেখানে এস-৪০০ সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়ণ ও সামরাস্ত্র হস্তান্তর নিয়ে আলোচনা করতে পারেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও তার টিম।
মঙ্গলবার, রাশিয়ায় পৌঁছন রাজনাথ। প্রথম দিন রুশ উপ-প্রতিরক্ষমন্ত্রী কর্নেল জেনারেল এ ভি ফোমিনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার। সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ দুজনের মধ্যে কথা হয়। উভয় দেশই পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় ও বৃদ্ধি করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হন বলে জানা গিয়েছে।
পরে, রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী ইয়ুরি বরিসভের সঙ্গে কথা বলেন রাজনাথ। বরিসভ হলেন ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা বিষয়ক ইন্টার গভর্নমেন্টাল কমিশনের চেয়ারম্যান। খবরে প্রকাশ, বরিসভকে রাজনাথ জানান, করোনা অতিমারী সত্ত্বেও ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অটূট রয়েছে। বরিসভের সঙ্গেও কৌশলগত ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যু এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ক একাধিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয় রাজনাথের।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, ভারত ও রাশিয়া ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্যে উল্লখযোগ্য এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতে কালাশনিকভ রাইফেল ও কামোভ হেলিকপ্টার তৈরির বিষয়গুলি।
সূত্রের খবর, এস-৪০০ অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফট (বিমান-বিধ্বংসী) এই ক্ষেপণাস্ত্র যাতে যত দ্রুত সম্ভব ভারতে আসে, তার জন্য জোর তদ্বির করবেন রাজনাথ। ২০১৮ সালে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার চুক্তি হয় ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ ওই মিসাইল সিস্টেম ভারতে আসার কথা। কিন্তু, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারত এখন চাইছে, সময়ের আগেই ওই ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেতে।
এর পাশাপাশি, আরও বেশি সংখ্যক রুশ সুখোই-৩০ এমকেআই ও মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়েও কথা হবে। গত বছর, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি পৃথক মউ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। যার মাধ্যমে রাশিয়া থেকে ২০০টি কামোভ কেএ-২২৬ হেলিকপ্টার কেনার কথা ভারতের। এছাড়া, রাশিয়া থেকে আর-২৭ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল কেনার জন্য ১৫০০ কোটি টাকার চুক্তি করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই মিসাইলগুলি সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।