মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এখনও উত্তপ্ত ভারত-চীন লাদাখ সীমান্ত। গত সপ্তাহে দুই দেশের সেনাবাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে ভারতের ২০ সেনা। চীনেরও ৪৩ সেনা নিহতের দাবি করা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে।
দুই দেশের কূটনৈতিক ও সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা চলছে । সমাধান না হলেই চলবে গোলাবারুদ , কামান । ব্যবহার হতে পারে মিসাইল । এর আগে ১৯৬২ সালেও ভারত ও চীন সীমান্ত নিয়ে যুদ্ধ করে । এতে চীন জয়লাভ করে । ইনকিলাবের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো সেই যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য ।
যুদ্ধের ইস্যু : ২০২০ সালের মত ১৯৬২ সালেও সীমান্ত নিয়ে বিরোধ থেকেই যুদ্ধ হয় দুই দেশের । চীন আগেই তিব্বতকে দখল করে । পরে বর্তমানে ভারতের অধীনে থাকা ‘ অরুণাচল প্রদেশ ’ ও ‘ আকসাই চীন ’ কে নিজেদের পুরনো ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন । এতেই সীমান্তে শুরু হয় সমস্যা । যা গড়ায় যুদ্ধের দিকে ।
যুদ্ধরত দের কোন কোন দেশ সমর্থন করেছিলো : যখন যুদ্ধ চলছে , ঠিক তখন বিশ্বের নানা দেশ যুদ্ধরত দুই দেশকে সমর্থন দেয় । ভারতের পক্ষে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র , সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য । আবার চীনের সমর্থনে এগিয়ে আসে ভারতের কথিত চিরশত্রু পাকিস্তান । ওই সময় চীনের সঙ্গে গভীর মিত্রতা গড়ে তোলে পাকিস্তান ।
চীনকে নিয়ে ভারতের দুই শক্তিধরের ভিন্ন মত : যুদ্ধের আগে চীনকে অতিরিক্ত সহানুভূতির মনোভাব বা অবহেলার চোখে দেখেছিল ভারত । ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চীনের স্থায়ী সদস্য পদ পেতে সমর্থন করে । ভারতের ধারণা ছিল , চীন কখনই ভারতের ওপর হামলা করার দুঃসাহস দেখাতে পারবে না । তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীনকে সহজভাবে নিয়েছিলেন । এ নিয়ে ভারতের তৎকালীন সেনাপ্রধান কোদানদেরা সুবাইয়া থিমাইয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মনোমালিন্য ছিল । কারণ , সেনাপ্রধান চীনকে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করতেন । এ যুদ্ধে জওহরলাল নেহেরু কিছুটা রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করেন । তিনি চীনের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ সহাবস্থানের ব্যাপারে জোর দেন । কেননা , তিনি চীনের সম্ভাব্য ভারত আক্রমণ সম্পর্কে আশঙ্কা করেন ।
যুদ্ধের ফলাফল : যুদ্ধে বিজয় হয় চীনা সামরিক বাহিনী র । জয়ী হয়ে একতরফা যুদ্ধবিরতি জারি করে চীন । আকসাই চীন নিজের দখলে রাখে কিন্তু অনেকটা করুণা করেই অরুণাচল প্রদেশ ফিরিয়ে দেয় ভারতকে । সে যুদ্ধের পর সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ভারত । এরপরই শান্তিবাদী বিদেশনীতিও কিছুটা পরিবর্তন আনে দেশটি ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।