বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রূপগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার রানীপুরা ব্রিজটি যাত্রীসাধারণের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঝুঁকি নিয়েই বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে ব্রিজটি দিয়ে। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা চলাচল করতে গিয়ে গর্তে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া যে কোন সময় ব্রিজটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, ১৯৮১ সালে এই ব্রিজটি হালকা যান চলাচলের জন্য কাঞ্চন-ছনপাড়া সড়কে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। সময় বাঁচাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে বাইপাস সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে আগত বিমান বন্দরের যাত্রীসাধারণসহ যাত্রীরা সহজ পথ হিসেবে ৩০০ ফুট রাস্তা বা কুড়িল ফ্লাইওভারের পার হওয়ার পর মহাসড়ক ব্যবহার না করে ছনপাড়া থেকে রানীপুরা ব্রিজ দিয়েই যাতায়াত করছে। এতে করে এ ব্রিজের উপর দিয়ে দৈনিক প্রায় ২-৩ হাজার গাড়ী চলাচল করে। করাটিয়া, আঙ্গারজোড়া, পূবেরগাঁও, চারিতাল্লুক, আতলাপুর, পাইশকা, তাড়াইল, বিরাবো, খালপাড়, ইসলামপুর, কাটাখালীসহ আশপাশের প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের এক মাত্র মাধ্যম এই ব্রিজটি।
স্থানীয়রা জানায়, গত বছর খানেক আগে ব্রিজটির বিভিন্ন স্থানে কংক্রিট খসে রডগুলো বের হয়ে কঙ্কালে পরিণত হয়। ব্রিজের অধিকাংশ অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ওই সময় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে স্টিলের পাটাতন দিয়ে সাময়িক সমস্যা সমাধান করেন এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। পরে গত কয়েক দিন আগে ফের আগের মতোই অবস্থার সৃষ্টি হয়। কোন ভারী যানবাহন এই ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করলে ব্রিজের পিলারগুলোও কাপতে থাকে। আর ব্রিজের বিভিন্ন ক্ষতস্থানগুলোর কংক্রিটগুলো ধসে ধসে পড়তে থাকে।
এতে করে ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াতরত যাত্রীসাধারণ ও যানবাহনগুলো প্রাণের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে উঠে। তবুও সময় বাঁচাতে যাত্রীসাধারণ বিকল্প হিসেবে এ সড়কটিই ব্যবহার করছে। তাছাড়া এ ব্রিজ দিয়ে দৈনিক স্কুল কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করছে। ব্রিজের বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের ফলে বড় বড় গর্ত ও কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই ব্রিজটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীসাধারণ।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী নাশির উদ্দিন জানান, ব্রিজটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে তাই ব্রিজের পাশে নোটিশ দেয়া হয়েছে। এলজিইডি কর্তৃপক্ষের কাছে প্রজেক্ট পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা হবে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইসলাম বলে, যেহেতু জেনেছি, ব্রিজটি পরিদর্শন করে অবশ্যই তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।